টোয় উঠেছিল তিন যুবক। নিজেদের মধ্যে তারা মালয়েশিয়ার ভাষায় কথা বলছিল। টের পায়নি, সে                               ভাষা জানেন অটোর চালকও। আর তাতেই ফাঁস হয়ে গেল চক্রান্ত।
তড়িঘড়ি               পুলিশের কাছে ছুটে যান চালক। জানান, মালয়েশিয়া থেকে এসে কেউ বা কারা সন্ত্রাসের ছক কষছে মুম্বইয়ে!
                         শুক্রবার এই খবর পাওয়ার পর থেকেই সন্দেহভাজনদের খোঁজে নেমে পড়ে মুম্বই পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা                            (এটিএস) এবং ক্রাইম ব্রাঞ্চ। অটোচালকের বয়ান অনুযায়ী তিন জনের স্কেচও প্রকাশ করা হয়। বিশেষ                               করে রবিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুম্বই সফর ছিল। তার ঠিক আগে আগে এমন একটা খবর পেয়ে                             দুশ্চিন্তাতেই পড়ে যান পুলিশের বড়কর্তারা। চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয় শহর জুড়ে। যে সব জায়গায়                            যাওয়ার কথা ছিল মোদীর, কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ঘিরে ফেলা হয় মুম্বইয়ের সেই সব এলাকা।
                         এটিএস সূত্রে খবর, শুক্রবার বছর চৌত্রিশের এক যুবক এসে তাঁদের খবর দেন, সিওন ফ্লাইওভারের কাছ                              থেকে তাঁর অটোয় উঠেছিল তিন জন লোক। ভিকরোলি পেরোনোর পর তারা অটো আইরোলির দিকে নিয়ে                         যেতে বলে। ‘‘ওই গোটা সময় তারা কোনও এক জনের সঙ্গে মালয় ভাষায় ফোনে কথা বলে যাচ্ছিল। এক                           জন শুধু মালয় জানত না। তার সঙ্গে বাকিরা উর্দু মেশানো পঞ্জাবিতে কথা চালাচ্ছিল,’’ বললেন এক এটিএস                         কর্তা। অটোর চালক চার বছর মালয়েশিয়ায় চাকরি করে এসেছেন। সে দেশের ভাষা ভালই শিখে                                     গিয়েছিলেন তিনি। ফলে কী নিয়ে আলোচনা করছে তারা, সবটা বুঝে যান তিনি।
                        ওই চালক আরও জানিয়েছেন, কাজের সূত্রে তিনি কিছু দিন পঞ্জাবেও থেকেছেন। সেখানে মেসে তাঁর সঙ্গে এক                         ঘরে থাকতেন কয়েক জন পঞ্জাবি। তাঁরা পাকিস্তান সীমান্ত ঘেঁষা কোনও এক গ্রামে থাকতেন। যে রকম উর্দু                           মেশানো পঞ্জাবিতে তাঁরা কথা বলতেন, অটোর সন্দেহভাজন তিন জনের কথাতেও ওই একই টান ছিল।
                      পুলিশ জানিয়েছে, অটোচালক ছেলেটির বয়ান অনুযায়ী, ওই তিন জন ফোনে বলছিল, ‘‘কাজ হয়ে গেলে                              তোমার পরিবারকে দেখা আমাদের দায়িত্ব। চিন্তা কোরো না। কাসবের পরিবারকেও তো আমরা দেখছি।’’ এ                       কথা শোনার পরই ওই চালক ঠিক করে ফেলেন, তিনি পুলিশের কাছে যাবেন।
                       কিন্তু এর বেশি সূত্র না মেলায় দুষ্কৃতীরা এখনও নাগালের বাইরেই। তবে বেশি দিন না। এক কর্তা বললেন,                           ‘‘মুম্বইয়ের আনাচেকানাচে তল্লাশি চলছে। বাদ পড়েনি ঠাণেও। দোকান, রেস্তোরাঁ, হোটেল... সর্বত্র স্কেচ দেখিয়ে                         খোঁজ করা হচ্ছে ওই তিন জনের। পুলিশের চর ছড়িয়ে চতুর্দিকে। ধরা পড়বেই...।’’