কোচের দায়িত্বে প্রত্যাবর্তনের পর চরম হতাশ স্টিফেন কন্সট্যানটাইন। কয়েক মাস আগেই বিশ্বকাপের কোয়ালিফাইং রাউন্ডে র্যাঙ্কিংয়ে দশ ধাপ নীচে থাকা গুয়ামের কাছে নাকানিচোবানি খাওয়ার পর সমস্ত ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। সাফ জানিয়ে ছিলেন, পরিকাঠামোর উন্নতি না হলে এ ভাবে একের পর এক অ্যাকাডেমি খুলে কোনও লাভই হবে না। ‘‘এক্ষুনি নিজেদের পরির্বতন না করলে ভারতীয় ফুটবলের মৃত্যু কেউ ঠেকাতে পারবে না। একদিকে গুচ্ছ গুচ্ছ অ্যাকাদেমি খোলা হচ্ছে, আর অন্য দিকে পাল্লা দিয়ে কমছে ঘরোয়া লিগের সংখ্যা। গোটা পৃথিবীর সঙ্গে ক্যালেন্ডার মেলাতে না পারলে এককদম এগনো সম্ভব না’’— বক্তব্য বিরক্ত ভারতের কোচের।
তবে জাতীয় দলের কোচের এই সতর্কতাবার্তাতেও বিন্দুমাত্র টনক নড়েনি ভারতীয় ফুটবলের অভিভাবক অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের। তারা এখন বেজায় ব্যস্ত ‘অভিজাত’ সুপার লিগ নিয়ে। ডুরান্ড লিগ, সন্তোষ কাপ ইতিমধ্যেই মৃত। এ বছর থেকে হিমঘরে চলে যাচ্ছে ফেডকাপও। প্রায় ভেন্টিলেশনে আই লিগও। পৃথিবীর আর কোন দেশে বিশ্বকাপ কোয়ালিফাইং ম্যাচ চলাকালীন অন্য লিগ দাপিয়ে বেড়ায়? সত্যি জানা নেই।
গ্ল্যামারাস আইএসএলের ছায়ায় দিন দিন শীর্ণ থেকে শীর্ণতর হচ্ছে ভারতীয় ফুটবলের চেহারাটা। আন্তর্জাতিক কোনও ম্যাচের দিন চারেক আগে প্লেয়ারদের এক জনের সঙ্গে আরেক জনের দেখা হয়, ম্যাচ শেষের পরের দিনই তাঁরা আইএসএলে বিরুদ্ধ টিমে একে অপরের প্রতীপক্ষ। এর বাইরে পারস্পরিক কোনও সম্পর্ক তাঁদের নেই। প্র্যাকটিস ম্যাচ শব্দটা এআইএফএফ-এর ডিকশেনারিতে একেবারে ব্রাত্য।
দৈত্যতো দূরের কথা, এই লিলিপুটসম চেহারাটার ঘুম ভাঙাতে হলে বদলে ফেলতে গোটা খোলনলচেটাই।
আর না হলে গতিমুখ যে দিকে নির্দেশ করছে, ফিফা র্যাঙ্কিং থেকে কিছু দিনের মধ্যে জাস্ট মিলিয়ে যাবে ভারতের নামটা। আর তখন শোচনাই সম্বল হবে...
No comments:
Post a Comment