কাক কাকের মাংস না খেলেও টির্যানোসরাস কিন্তু স্বজাতিকেও রেহাই দিত না। প্রায় সাড়ে ছ’কোটি বছর আগে পৃথিবীর বুকে ঘুরে বেড়ানো এই অতিকায় প্রাণীদের সম্পর্কে এমনটাই দাবি করছেন ক্যালিফোর্নিয়ার লোমা লিন্ডা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ববিদ ম্যাথিউ ম্যাকলেন। কী ভাবে তিনি জানলেন এ কথা? ম্যাথিউ জানাচ্ছেন, আমেরিকার ল্যান্স ফর্মাশনে মাটি খুঁড়ে টির্যানোসরাসের জীবাশ্ম খুঁজে পেয়েছিলেন তাঁরা। তার পর সেই জীবাশ্মের খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে চমকে যান! দেখেন, টির্যানোসরাসের একটা হাড়ের দু’টো প্রান্তই ভাঙা। সেখানে গভীর আঘাতের চিহ্ন। যা দেখে গবেষকরা নিশ্চিত, কোনও না কোনও প্রাণী খুবলে খেয়েছিল ওর মাংস। ম্যাথিউয়ের কথায়, ‘‘ঠিক যে ভাবে মানুষ ফ্রায়েড চিকেন খায়, সে ভাবেই খাওয়া হয়েছিল ওকে...।’’
এ প্রমাণ পাওয়ার পরই গবেষকমহলে প্রশ্ন ওঠে, অতিকায় প্রাণীটি কার খাদ্য হয়েছিল? হাড়ের উপর আঘাতগুলো খুটিয়ে দেখে তাঁরা নিশ্চিত হন, খাদক কোনও কুমির নয়। আরও ভয়ানক শক্তিশালী কিছু। আর তাতেই নাম ওঠে ‘টি রেক্স’-এর।
আমেরিকার যে অঞ্চলে ওই জীবাশ্মের সন্ধান মিলেছিল, সেই ল্যান্স ফর্মাশনে এক সময় দু’ধরনের টির্যানোসরাস রাজত্ব করতো। টির্যানোসরাস রেক্স বা ন্যানোটাইরানস ল্যানসেনসিস— এ ছাড়া আর কেউ হতে পারে না, দাবি করছেন ম্যাথিউ। তিনি বলেন, ‘‘টির্যানোসর ছাড়া আর কিছু হতে পারে না...। আর কারও অত বড় দাঁত ছিল না।’’ তবে স্বজাতিকে জ্যান্ত চিবিয়ে খায়নি সে। হত্যাকারীও সে ছিল কি না, নিশ্চিত নন গবেষকরা।
No comments:
Post a Comment