চেন্নাই সুপার কিংগস-রাজস্থান রয়্যালস আগামী দু’বছর আইপিএলে নেই।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, অজিঙ্ক রাহানেরা আগামী দুই আইপিএলে আছেন।
রবিবাসরীয় মুম্বইয়ে শশাঙ্ক মনোহর নেতৃত্বাধীন ভারতীয় বোর্ডের প্রথম ওয়ার্কিং কমিটি বৈঠকে যা ঠিক করে ফেলা হল। ঠিক হয়ে গেল যে, লোঢা কমিশনের রায়কে সম্মান দেখিয়ে সেটাই মানবে বোর্ড। আইপিএল স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়া দুই ফ্র্যাঞ্চাইজিকে কমিশনের রায় অনুসারে দু’বছরের নির্বাসনে রাখা হবে। তারা আইপিএল গ্রহে আবার ফিরবে দু’বছর পর, অর্থাৎ ২০১৮ সালে। কিন্তু তাই বলে ধোনি-রায়নাদের আগামী দু’বছর আইপিএলে দেখতে পাওয়া নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। টেন্ডার দিয়ে দু’টো নতুন টিমের জন্য বিড নেওয়া হবে। যাদের দেখা যাবে আগামী আইপিএলে খেলতে।
প্রশ্ন হচ্ছে, ধোনিরা কে কোন ফ্র্যাঞ্চাইজিতে যাবেন, সেটা ঠিক হবে কী করে?
আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের কোনও কোনও সদস্যের মনে হচ্ছে বর্তমান পরিস্থিতিতে নতুন করে নিলামের রাস্তায় হাঁটা উচিত। কারণ নতুন দু’টো টিমের মধ্যে চেন্নাই-রাজস্থানের প্লেয়ার ভাগাভাগি করতে গেলে বাকি ফ্র্যাঞ্চাইজিরা তা মানতে চাইবে না। যেহেতু দু’টো টিমেই হেভিওয়েট ক্রিকেটাররা আছেন। সিএসকে-তে ধোনি-রায়না-দু’প্লেসি-ম্যাকালাম। রাজস্থানে শেন ওয়াটসন সহ অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বজয়ী টিমের একাধিক সদস্য, রাহানে। এত দিন প্লেয়ার ধরে রাখার নিয়ম ছিল বলে যাদের অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো পায়নি। এমনিতেই ২০১৭ সালে নিয়ম মতো নতুন নিলাম হওয়ার কথা। সেটাকে এক বছর এগিয়ে আনতে কেউ কেউ খুব অসুবিধে দেখছেন না। বলা হচ্ছে, নতুন নিলাম হলে তাতে সমস্ত ফ্র্যাঞ্চাইজিই সমান সুযোগ পাবে ধোনি-রায়নাদের কেনার।
বৈঠক শেষে বোর্ড যে বিবৃতি পেশ করেছে, তাতে নিলাম সম্পর্কিত কিছু নেই। কিন্তু দু’বছর পর আইপিএল ঠিক ক’টা টিমের হতে চলেছে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রেখে দেওয়া হয়েছে। আইপিএল চেয়ারম্যান রাজীব শুক্ল বৈঠক শেষে বলে দিয়েছেন, ‘‘আইপিএল ওয়ার্কিং গ্রুপ চারটে প্রস্তাব দিয়েছিল। তার থেকে একটা প্রস্তাবকে মেনে নিয়েছে ওয়ার্কিং কমিটি। সেটা হল, দু’বছরের জন্য দু’টো ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়া হবে। দু’বছর পর আমরা ঠিক করব যে, টিম আটটা থাকবে নাকি আরও বেশি।’’ কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, দু’বছরের জন্য আইপিএল টিম কিনতে ক’জন আগ্রহী মুখ শেষ পর্যন্ত পাওয়া যাবে? কারণ দু’বছর পর আদৌ নতুন দুই ফ্র্যাঞ্চাইজিকেই রেখে দেওয়া হবে, এমন গ্যারান্টি তো আইপিএল চেয়ারম্যানের কথায় নেই।
শোনা গেল, অধিকাংশ সদস্য নাকি চেন্নাই-রাজস্থানকে সম্পূর্ণ ছেঁটে ফেলার ব্যাপারে আগ্রহী ছিলেন না। নতুন বোর্ড প্রেসিডেন্টও দিন কয়েক আগে বলে দিয়েছিলেন যে, কোনও রাজ্য সংস্থার উপরেই ‘প্রতিশোধস্পৃহা’ দেখাবে না তাঁর বোর্ড। দেখালও না। লোঢা কমিশনের রায়কে কার্যকর করে ছেড়ে দেওয়া হল। পাশাপাশি এটাও বলা হল যে, দু’টো নতুন টিম যে চেন্নাই বা রাজস্থান থেকেই নেওয়া হবে, তার কোনও মানে নেই। যে বেশি বিড দেবে, তাদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এ ছাড়া আরও দু’টো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হল এ দিনের বৈঠকে। বোর্ডের বার্ষিক সভার দিন ঠিক করে ফেলা হল। সেটা আগামী ৯ নভেম্বর হচ্ছে। আর আইপিএলের প্রধান স্পনসরশিপ থেকে শেষ পর্যন্ত সরেই গেল পেপসি। আইপিএল-৯-এর প্রধান স্পনসরশিপের দায়িত্ব পেল ভিভো।
No comments:
Post a Comment