সেই ১৯৬৬ সালে জলের অতলে মুখ লুকিয়েছিল সে। মাঝে এক বার মাথা তুলেছিল ২০০২ সালে। সেই শেষ! তার পর এত দিন বাদে, পাক্কা ১৩ বছর পরে জল থেকে মাথা তুলে দেখা দিল মেক্সিকোর ষোড়শ শতকের অ্যাপোস্টল সান্তিয়াগো গির্জা। খরায় জলস্তর কমে যাওয়াতেই গির্জাটির এ হেন নাটকীয় আত্মপ্রকাশ।
প্রায় ৪৫০ বছরের পুরনো এই গির্জাটি স্থাপিত হয়েছিল ডমিনিকান সন্তদের হাতে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য এর উপর নেমে আসে জরাজীর্ণতার ছাপ। তার পর ১৯৬৬ সালে গ্রিজালভা নদিতে বাঁধ দেওয়ার সময়েই ঘটে দুর্যোগ। ছাপিয়ে যাওয়া জলের তলায় চিরতরে মুখ লুকোয় অ্যাপোস্টল সান্তিয়াগো গির্জা।
২০০২ সালে প্রায় ৬০ মিটার মতো দেখা গেলেও এ বারে অবশ্য জলের ভিতর থেকে গির্জাটি মাত্র ১৫ মিটার মাথা তুলেছে। যদিও এত দিন ধরে জলের তলায় থাকতে থাকতে গির্জাটির ছাদ ভেঙে গিয়েছে। এখন সেই ভাঙাচোরা গির্জার থামের উপর এসে বসছে পাখি। কাছে গেলে দেখা যাচ্ছে, গির্জার দেওয়ালে জমেছে পুরু শ্যাওলা। সে ভাবে জনপ্রিয় দ্রষ্টব্য না হলেও মেক্সিকোয় এখন এই গির্জা-ভ্রমণ শুরু হয়েছে। বলা তো যায় না, আবার কবে জলের তলায় মুখ লুকায় সে!
আর, সে আশঙ্কা অমূলকও নয়! ইতিমধ্যেই ভারী বর্ষণে বাড়তে শুরু করেছে নদির জলস্তর। দিন কয়েকের মধ্যেই শতাব্দী প্রাচীন এই স্থাপত্য হয়ত ফের চলে যাবে জলের তলায়!
No comments:
Post a Comment