Monday, October 26, 2015

কমনওয়েলথের পথে বিশ্বভারতীর কৌস্তভ



কমনওয়েলথ পাওয়ার লিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপে জায়গা করে নিল বিশ্বভারতীর শারীরশিক্ষা বিভাগের ছাত্র কৌস্তভ ঘোষ। নভেম্বরে কানাডায়, ৯৩ কিলোগ্রাম বিভাগে সে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন।
দুর্গাপুরের বাসিন্দা কৌস্তভের এই সফলতায় স্বাভাবিক ভাবেই খুশি বিশ্বভারতী। শারীর শিক্ষা বিভাগের প্রধান অশোককুমার গুণ বলেন, “ভারোত্তোলনের বিভাগে, কৌস্তভ দেশের প্রতিনিধিত্ব করছে, খুবই সম্মানের ও গর্বের বিষয়। শুধু ওই বিভাগেই নয়, খেলায় কোনও আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রতিনিধিত্ব বিশ্বভারতীর ক্ষেত্রে এই প্রথম।”
দুর্গাপুরের রঘুনাথপুর-মধুপল্লির বাসিন্দা কৌস্তভ স্কুলে পড়ার সময়ই ন্যাশানালে প্রথম হয়। তারপর দুর্গাপুরের প্রয়াত আন্তর্জাতিক পাওয়ার লিফটার অমিত পাকড়াশির নজরে পড়ে যায়। তাঁরই পরামর্শে শুরু হয় শরীর গড়ার সাধনা। বিশ্বভারতীর স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। জানালেন, তিনি গত বছর ফেডারেশন কাপ-এ ৯৩ কিলোগ্রাম বিভাগে দ্বিতীয় হয়েছিলেন। চলতি বছর কোচবিহারে স্টেট চ্যাম্পিয়ন হন। তার পরেই, চলতি মাসে জামশেদপুর রতন টাটা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে সিলেকশন ট্রায়াল-এর জন্য ডাক পাওয়া। এবং সেখানেই ভারোত্তোলনের বিভাগে প্রথম হন। আর তারপরই আসে ষষ্ঠ কমনওয়েলথের ডাক।
সেদিনের কথা বলতে গিয়ে বলেন, ‘‘চ্যাম্পিয়নশিপ উপলক্ষে ১ নভেম্বর থেকে জামশেদপুরে শুরু হচ্ছে শিবির। তার পরেই, প্রতিযোগিতায় প্রতিনিধিত্ব করতে কানাডা সফর।’’
সফর নিয়ে ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ভারোত্তোলন সংস্থা লিখিত ভাবে জানিয়েছে। কৌস্তভ সে কথা জানিয়ে বলছিলেন বেসরকারি সংস্থার কর্মী, বাবা রূপেন্দ্রনাথ ঘোষ ও মা চিত্রাদেবীর উৎসাহ দেওয়ার কথা। রূপেন্দ্রনাথবাবু বলেন, ‘‘ইচ্ছে তো হয়, ও অনেক দূর এগিয়ে যাক। কিন্তু সামর্থ্য কোথায়! ওর কানাডা যাওয়ার খবরে আনন্দ যেমন হচ্ছে, চিন্তাও বাড়ছে। জানি না, পারব কি না শেষ পর্যন্ত অর্থ যুগিয়ে যেতে।’’ চিত্রাদেবী বলেন, ‘‘স্কুলের চৌকাঠ থেকেই খেলায় ঝোঁক ছিল ওর। সেই স্বপ্নই ওকে যেন জয়ী করে।’’
কী বলছেন কৌস্তভ?  প্রশিক্ষণের ফাঁকে জিরিয়ে নিতে নিতে সেই স্বপ্নের কথাই শোনা গেল তার মুখে। ‘‘স্বপ্ন দেখতেই দেখতেই তো মধুপল্লি থেকে কানাডার পথে পাড়ি। লক্ষ্য, আন্তজার্তিক মঞ্চে দেশের হয়ে সফলতা নিয়ে আসা।’’

No comments:

Post a Comment