ভারত থেকে যদি পেট্রোলিয়াম ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের আমদানি বন্ধ হয়, তবে চিনের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা ভাববে নেপাল। এই মনোভাব দিল্লিকে জানালেন ভারতে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত দীপকুমার উপাধ্যায়।
নয়া সংবিধান ঘিরে মদেশীয়দের বিক্ষোভে ১১ দিন ধরে ভারত থেকে সে দেশে পণ্য যাতায়াত বন্ধ ছিল। নেপালের নতুন সংবিধানে মদেশীয় ও থারুদের প্রতি বঞ্চনার অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই কাঠমান্ডুর কাছে ক্ষোভ জানায় নয়াদিল্লি। এই পরিস্থিতিতে সে দেশের রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য, ‘‘নেপালকে দেওয়ালের দিকে ঠেলে দেওয়া ঠিক নয়। কত দিনে সরবরাহ স্বাভাবিক হবে, তা স্পষ্ট করা উচিত ভারতের।’’ না হলে ‘‘ভৌগোলিক অসুবিধা থাকলেও চিন সহ অন্য দেশগুলির কাছে যেতে হবে নেপালকে’’ মন্তব্য কাঠমান্ডুর দূতের।
আজ পেট্রোলিয়াম ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস  নিয়ে ১০০টি ট্রাক নেপালে ঢুকেছে। মদেশীয় বিক্ষোভে নেপাল পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় ১১ দিন ধরে পাঁচটি চেকপোস্টই বন্ধ ছিল। তবে নতুন করে সরবরাহ শুরু হওয়ায় স্বস্তি এসেছে। নেপালে ভারতের রাষ্ট্রদূত রঞ্জিত রাই এ দিন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালার সঙ্গে দেখা করে পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন। নেপালে ভূমিকম্পের পরে ত্রাণের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ভারত। কিন্তু দেশ পুনর্গঠনের প্রশ্নে নয়াদিল্লি সাহায্যের হাত বাড়ালেও সেখানে সব সময়েই চিনের সুযোগসন্ধানী মনোভাবের মুখে পড়তে হয়েছে ভারতকে। নতুন সংবিধান গ্রহণের সময়ে মদেশীয় ও থারুদের স্বার্থের দিকে তাকানোর জন্য ভারতের পরামর্শকেও আমল দেয়নি নেপাল।