২৬/১১-র মুম্বই হামলার ঘটনার যে-চক্রীরা এখনও ‘লুকিয়ে রয়েছে’ পাকিস্তানে, তাদের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদকে তড়িঘড়ি আইনি ব্যবস্থা নিতে বলল আমেরিকা দু’দেশের মধ্যে প্রথম সমর-কৌশল ও বাণিজ্য-সংক্রান্ত বৈঠকে এ দিন ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। ছিলেন মার্কিন বিদেশসচিব জন কেরিও। ওই বৈঠকের পর একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। তাতে ২৬/১১-র ঘটনার যে-চক্রীরা এখনও পাকিস্তানে ‘লুকিয়ে রয়েছে’, তাদের খুঁজে বের করতে বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, সেই সব ‘ফেরার’ চক্রীদের বিরুদ্ধে আর দেরি না- করে, আইনি প্রক্রিয়া শুরু করে দিতে।
গত জুলাই ও অগস্টে যথাক্রমে পঞ্জাবের গুরুদাসপুর ও জম্মু-কাশ্মীরের উধমপুরে জঙ্গি-কার্যকলাপেরও কড়া নিন্দা করা হয়েছে ওই যৌথ বিবৃতিতে। ওই দু’টি ঘটনারই থক কষা হয়েছিল পাকিস্তানের মাটিতে। এই প্রথম ওই দু’টি ঘটনায় জড়িত থাকার কথা পরোক্ষে স্বীকার করে নিল আমেরিকাও।
এ ছাড়াও, আল-কায়েদা, লস্কর-ই-তৈবা, জইশ্-ই-মহম্মদের মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ও দাউদ ইব্রাহিম-হাক্কানি গ্রুপের নাশকতামূলক কার্যকলাপের মোকাবিলা করতে যা যা করা দরকার, দিল্লিকে সেই সব সহযোগিতাই করতে রাজি হয়েছে ওয়াশিংটন। উপমহাদেশে সন্ত্রাসদমনের জন্য ভারতকে আরও বেশি সামরিক সহায়তা দেওয়া হবে বলেও আমেরিকার তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, উপমহাদেশে সন্ত্রাসদমনের প্রশ্নে দিল্লির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই কর্মসূচি চূড়ান্ত করবে ওয়াশিংটন। ঠিক হয়েছে, সন্ত্রাসদমনের প্রশ্নে এখন থেকে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুগুলি নিয়ে ভারতের বিদেশসচিব ও মার্কিন উপ-বিদেশসচিবের মধ্যে নির্দিষ্ট সময় অন্তর বৈঠক হবে।