Saturday, October 31, 2015

September 29 – World Heart Day

World Heart Day takes place on 29 September every year and is a chance for people across the globe to take part in the world’s biggest intervention against cardiovascular disease (CVD).
  • THEME – Creating heart-healthy environments
  • AIM – To improve health globally by encouraging people to make lifestyle changes and promoting education internationally about ways to be good to your heart.
WORLD HEART DAY
  • World Heart Day was first created in 2000 by World Health Federation to let people know that heart related disease can be prevented.
  • World Heart Day is organized by the World Heart Federation based in Geneva, Switzerland.

Lifetime achievement award for Sashi Kapoor

Veteran actor Shashi Kapoor will be honoured with lifetime achievement award at the6th Jagran Film Festival in Mumbai
Legendary actor Shashi Kapoor earlier awards
  • In 2011, he was honoured with the Padma Bhushan by the Government of India for his contributions to Art-Cinema
  • In 2015, he was awarded the 2014 Dadasaheb Phalke Award
The 77-year-old is best known for his memorable performance in films like Satyam Shivam Sundaram, Trishul, Kabhi Kabhie, Vijeta and Kalyug.
The 6th edition of Jagran Film Festival is scheduled from September 28 to October 4 at Fun Cinemas, Andheri

Wipro selected as Dow Jones Sustainability World Index member

Wipro, a leading global information technology, consulting and business process services Company has been selected as a member of the global Dow Jones Sustainability Index (DJSI) – 2015 for the sixth year consecutive year.
Wipro is included in both the DJSI World and Emerging Markets Indices.
PARTICIPANTS
  • total of 1,845 companies were assessed from around the world of which 317 have been chosen as the DJSI World constituents for the year 2015-16.
  • The IT Services sector saw 76 companies participating globally of which 8 have been selected for the World Index.
ABOUT DJSI
  • It was launched in 1999 tracking the financial performance of the leading sustainability driven companies worldwide.
  •  Tracking is done on the basis of several dimensions like economic, environment and social sustainability, Climate Change Performance, Corporate Governance, Innovation, Labor Practices and Digital Inclusion.

Dr Mahesh Sharma launches the NOC Online Application Portal and Processing System (NOAPS) for the National Monument Authority (NMA)

  • The Minister of State for Culture (Independent Charge), Tourism (Independent Charge) and Civil Aviation,Dr. Mahesh Sharma,  launched the NOC Online Application Portal and Processing System (NOAPS) for the National Monument Authority (NMA), Ministry of Culture at Samrat Hotel in New Delhi. The NOAPS will be available on http://nmanoc.nic.in./
  • NOAPS is an initiative taken by the National Monument Authority for streamlining of approval procedure for construction related activities in regulated/restricted areas in the vicinity of Archaeological Survey of India (ASI) protected monuments in various cities of India.

Mahesh Babu adopts Siddhapuram village

Telugu superstar Mahesh Babu revealed that he will be adopting Siddhapuram village of Telangana as part of the initiative to give back to the society.
  • His decision is inspired from his reel story of his latest Telugu blockbuster “Srimanthudu” in which he Babu played the heir of a multi-millionaire, who adopts his family’s village and sets out on a journey to transform it.
  • This is the second such decision that celebrities from the film fraternity have made and followed it up with a firm announcement. The first to do so was actor Prakash Raj who announced that he would adopt Kondareddypally of Kesampet mandal in Mahabubnagar, Telangana.

Govt to roll out domestic ranking system

  • Government unveils an India-specific ranking framework covering higher educational institutes in an answer to global ranking agencies where Indian universities and institutes including the Indian Institutes of Technology (IITs) have never been able to make the cut.
  • There will be an apple-to-apple comparison i.e. institutes in different sectoral field such as engineering, management etc. would be compared separately
  • It will be released by human resource development minister Smriti Irani
  • First ranking list is expected by January-February 2016
PARAMETERS USED FOR RANKING
  • Teaching learning and resources
  • Research
  • Graduation outcome
  • Consulting and collaborative performance
Each of these has been further subdivided into 20 sub criteria to comprehensively assessment of an institute. The rankings will cover all institutes offering courses on engineering, law, management and humanities.

Friday, October 30, 2015

মেসির বার্সা ছাড়া নিয়ে নতুন জল্পনা

লিওনেল মেসি কি স্পেন ছেড়ে বিলেতমুখী? বার্সেলোনা রাজপুত্রকে কি অদূর ভবিষ্যতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলতে দেখা যাবে?। দুই ম্যাঞ্চেস্টার— ইউনাইটেড বা সিটি, কারও জার্সিতে? অথবা চেলসিতে? এতগুলো প্রশ্ন আবার অন্যতম বিশ্বসেরা ফুটবলার ঘিরে উঠতে শুরু করেছে অভিজ্ঞ এক স্প্যানিশ ফুটবল বিশেষজ্ঞের স্রেফ একটা টুইটে!
গিয়েম বালাগ নামের ওই ফুটবল বিশেষজ্ঞ ইউরোপে সুপরিচিত এবং তিনি এ দিন টুইটে লিও মেসি নিয়ে এমন একটা খবর দিয়েছেন, যেটাকে অত্যন্ত তাৎপর্যের মনে করছে ফুটবলমহল। ‘ফুটবলপ্রেমীরা জানেন কি? লিওনেল মেসি এখন মন দিয়ে ইংরেজি শিখছেন!’
এই টুইটের পরেই আর্জেন্তিনীয় মহাতারকার এহেন কাজের অন্তর্তদন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে। ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে, মেসি হয়তো ইপিএলে যোগ দেবেন বলেই আগেভাগে ইংরেজিতে সড়গড় হতে চাইছেন। যাতে ইংল্যান্ডে মিডিয়া সামলাতে অসুবিধে না হয়।
বালাগ পাশাপাশি এক টাটকা প্রতিবেদনে লিখেছেন, ‘‘বার্সেলোনা ছাড়ার এত কাছাকাছি মেসি এর আগে কখনও আসেনি। একে বহু দিন মাঠের বাইরে ও। হাঁটুর লিগামেন্টের চোটে ওকে বার্সোলোনা কোচ লুইস এনরিকে পরের মাসের শেষের দিকেও এল ক্লাসিকোয় নামাবেন না, এখনই বলে দিয়েছেন। বিশ্রামরত মেসি ওর দুই পরম বন্ধু আগেরো আর ফাব্রেগাসের থেকে ইপিএলের খবরাখবর নিয়মিত নিচ্ছে এখন।’’ উল্লেখ্য, আগেরো খেলেন ম্যাঞ্চেস্টার সিটিতে এবং ফাব্রেগাস চেলসিতে।
বালাগের ব্যাখ্যা, মেসি আর তাঁর বাবা জর্জের বিরুদ্ধে ২০০৭ থেকে ২০০৯–এর ভেতর ৪১ লাখ ইউরো স্প্যানিশ কর ফাঁকি দেওয়ার অপরাধে তাঁদের ২২ মাস কারাদণ্ডের জল্পনা শুরু হওয়ার পরেই স্পেন ছাড়ার ব্যাপারে আরও বেশি ভাবতে শুরু করেছেন বার্সা কিংবদন্তি। যিনি বার্সেলোনার জার্সিতে ২৫টা প্রধান ট্রফি জেতার পাশাপাশি চার বার ব্যালন ডি’অর পেয়েছেন।    

চট্টগ্রামে লাল-হলুদ ‘লুণ্ঠন’

ইস্টবেঙ্গল-১ (অভিনব)
চট্টগ্রাম আবাহনী-৩  (এলিটা-২, হেমন্ত)
চট্টগ্রাম আবাহনী ‘লুন্ঠন’। আর শেখ কামাল আন্তর্জাতিক গোল্ড কাপ নিয়ে ও পার বাংলা থেকে এ পার বাংলায় ফেরা— এই  স্বপ্নে শুক্রবার দিনভর মশগুল ছিলেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা।
র‌্যান্টি মার্টিন্স গোলের মধ্যে ফেরায় লাল-হলুদ সমর্থকরা আরও আশাবাদী ছিলেন, র‌্যান্টি-ম্যাজিকে এক যুগ পর ফের একটা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট জিতে কলকাতায় ফিরবে তাঁদের প্রিয় দল।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রাম থেকে ইস্টবেঙ্গল কলকাতা ফিরছে স্বপ্নভঙ্গের তীব্র বেদনা নিয়ে।
কারণ,  র‌্যান্টি আছেন র‌্যান্টিতেই! আসল দিনে জ্বলে ওঠার বদলে কেমন যেন মিইয়ে রইলেন সারাক্ষণ। আর তাঁর প্রতিপক্ষ দলে দেশোয়ালি নাইজিরিয়ান এলিটা কিংসলে দাপিয়ে বেড়ালেন গোটা ম্যাচ। নিটফল— ফাইনালের শুরুতেই এগিয়ে গিয়েও ১-৩ হেরে বাংলাদেশ থেকে ট্রফি জিতে আসার সুযোগ হাতছাড়া করল বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের দল। গ্রুপ লিগ অভিযান যাদের বিরুদ্ধে ২-১ জিতে শুরু করেছিল লাল-হলুদ, তাদের কাছেই চূড়ান্ত লড়াইয়ের দ্বিতীয়ার্ধে নাস্তানাবুদ হয়ে হারল লাল-হলুদ। তিপ্পান্ন থেকে ছাপ্পান্ন—মাত্র তিন মিনিটে দু’গোল খেয়ে ম্যাচ থেকেই হারিয়ে যান দীপক-ওরোকরা।
অথচ শুরুটা এ দিন ভালই করেছিল ইস্টবেঙ্গল। এগারো মিনিটে অভিনব বাগের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য়ের ছেলেরা। ইস্টবেঙ্গল রাইট ব্যাকের শট আবাহনীর লিটনের মাথায় লেগে দিক পরিবর্তন করে গোলে ঢুকে যায়। তখন একবারও মনে হয়নি এই ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়তে পারে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু হাফটাইমের বাঁশি বাজার সামান্য আগে আবাহনীর মিঠুনের ক্রস থেকে হেডে বাংলাদেশের ক্লাবকে সমতায় ফেরান তাদের নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড এলিটা।
“ফাইনালে হারায় কষ্ট একটা থাকেই। কিন্তু কোনও কোনও দিন গেমপ্ল্যান কাজ করে না। আজ সেটাই হল।
তবে আই লিগের আগে আমাদের রিজার্ভ বেঞ্চ অনেককে পেল। আপাতত লাভ এটাই।” —বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য।
দ্বিতীয়ার্ধের গোড়ায় জাহিদের ফ্রিকিকে পা ছুঁইয়ে স্থানীয় দলকে এগিয়ে দেন ওই বিদেশিই। দু’মিনিট পরেই ফের গোল খায় লাল-হলুদ রক্ষণ।  বেলো-দীপকদের ভুল বোঝাবুঝিতে এলিটার ক্রসে হেডে ৩-১ করে যান হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস।
ম্যাচ শেষে চরম হতাশ অ্যালভিটো ডি’কুনহা ফোনে বললেন, ‘‘প্রথমার্ধের একদম শেষ মুহূর্তে গোলটা হজম করে ছেলেদের কনফিডেন্সটা পরের পঁয়তাল্লিশ নষ্ট হয়ে গেল। তাতেই সব বিপত্তি।’’ চট্টগ্রামের দলটায় শেখ রাসেল থেকে লিয়েনে নেওয়া বেশ কয়েক জন ফুটবলার আছেন।  তার সঙ্গে গ্যালারির তুমুল সমর্থন। আর মাঠের ভেতর তাদের দুই সাইডব্যাকের মারাত্মক ওভারল্যাপ। তবু এ সব কিছু প্রথমার্ধে ঠিক মতোই ম্যানেজ করে নিয়েছিল দীপক মণ্ডলরা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে এক বার এগিয়ে যেতেই প্রেসিং ফুটবল খেলতে শুরু করে আবাহনী। বিশ্বজিতের দল এই সময় চেষ্টা করেছিল প্রতি-আক্রমণে রাস্তায় গিয়ে গোল তুলে আনার। কিন্তু র‌্যান্টি নিষ্প্রভ থাকায় সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি। গোলের সুযোগ নষ্ট করেন ওরোক, রফিকরাও।
বাংলাদেশের এই টুর্নামেন্টে প্রথম দিন থেকেই কিপার দিব্যেন্দু, মিডিও প্রহ্লাদ, অবিনাশ, অ্যান্টনি, সাইড ব্যাক অভিনবদের মতো বঙ্গসন্তানরা পারফরম্যান্সের শিখরে ছিলেন। কিন্তু আসল দিনেই সেই বঙ্গসন্তানরা স্বপ্নভঙ্গের শরিক। যদিও লাল-হলুদ কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য সেটা মানতে নারাজ। ফোনে বললেন, ‘‘ফাইনালে হারায় কষ্ট একটা থাকেই। কিন্তু কোনও কোনও দিন গেমপ্ল্যান কাজ করে না। আজ সেটাই হল। তবে আই লিগের আগে আমাদের রিজার্ভ বেঞ্চ অনেককে পেল। আপাতত লাভ এটাই। আমি তো মনে করি এই টুর্নামেন্টের পারফরম্যান্স আই লিগে হতাশার প্রভাব ফেলার বদলে ফুটবলারদের বরং মোটিভেট করবে।’’

নাদালের প্রিয় প্যারিসে জুটি লিয়েন্ডার

অ্যান্ডি মারেকে জুটি নিয়ে এ মরসুমে ডাবলস সার্কিটে আগেই খেলে ফেলেছেন। এ বার বিশ্ব টেনিসের ‘ফ্যাব ফোর’-এর আর এক মহাতারকা সঙ্গী হচ্ছেন ভারতীয় ডাবলস বিশেষজ্ঞ লিয়েন্ডার পেজের।
ডাবলস-মিক্সড ডাবলস মিলিয়ে ১৭ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী লিয়েন্ডার শুক্রবারই তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে নাদালের ছবি পোস্ট করে ঘোষণা করেন, ‘এই চ্যাম্পিয়নের পাশে খেলার অপেক্ষায় রয়েছি। সামনের সপ্তাহে প্যারিস মাস্টার্সে। রাফায়েল নাদাল। লেজেন্ড!’
সি‌ঙ্গলসে ১৪ গ্র্যান্ড স্ল্যাম চ্যাম্পিয়ন নাদালের ন’টা খেতাবই ফরাসি ওপেন থেকে। প্যারিসেই রোলাঁ গারোয় যে ‘মেজর’ হয়ে থাকে। ফলে সেই প্যারিসে মরসুমের শেষ মাস্টার্সের ডাবলসে নাদালকে জুটি নিয়ে লিয়েন্ডারের নামাটা তাৎপর্যের তো বটেই! তবে ক্লে কোর্ট সম্রাট এই টুর্নামেন্টে তাঁর প্রিয়তম সারফেসে লিয়েন্ডারের সঙ্গী হতে পারছেন না। প্যারিসে হলেও ৩১ অক্টোবর-৮ নভেম্বরের এই মাস্টার্স টুর্নামেন্ট হচ্ছে ইন্ডোর হার্ডকোর্টে।
টেনিস ট্যুরে এ বছরটা নাদাল আর লিয়েন্ডারে যেন মিল রয়েছে! সিঙ্গলসে নাদাল এবং ডাবলসে লিয়েন্ডার, দু’জনেরই বছরটা এ পর্যন্ত খারাপ গিয়েছে। দশ বছরের মধ্যে নাদাল যদি এ মরসুমে একটাও গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব না পেয়ে থাকেন, তা হলে লিয়েন্ডারের ডাবলসে এটিপি খেতাব মাত্র একটা। সেই জানুয়ারিতে অকল্যান্ড ওপেন। তাৎপর্যের, বছরের প্রথম দু’মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার রাভেন ক্লাসেনকে জুটি করে একটায় চ্যাম্পিয়ন আর দু’টোয় (চেন্নাই এবং ডেলারি বিচ ওপেন) রানার্স হলেও জুটি ভেঙে যাওয়ার পর লিয়েন্ডারের সেরা পারফরম্যান্স মাত্র একটা সেমিফাইনাল। কিন্তু তার ভেতরে লিয়েন্ডার আট জন ডাবলস পার্টনার পাল্টেছেন। এমনকী শেষ ন’টা টুর্নামেন্টে খেলেছেন আট জন আলাদা জুটি নিয়ে। তাঁদের মধ্যে অ্যান্ডি মারে ছাড়া আছেন স্ট্যানিসলাস ওয়ারিঙ্কার মতো সিঙ্গলস তারকাও। আরও লক্ষ্যণীয়, মাস্টার্সেই লিয়েন্ডার এ রকম সিঙ্গলস মহাতারকাকে জুটি করছেন এ মরসুমে। সিনসিনাটি মাস্টার্সে ওয়ারিঙ্কা। মন্ট্রিয়ল মাস্টার্সে মারে। প্যারিস মাস্টার্সে নাদাল।
ডাবলস প্লেয়ার হিসেবেও নাদাল মোটেই খারাপ নন। পেশাদার জীবনে জয়-হারের হিসাব ১১৭-৬৭। চলতি বছরে ১২-৫। লিয়েন্ডারের মতো নাদালেরও এ মরসুমে একমাত্র ডাবলস খেতাব জানুয়ারিতেই। আর্জেন্তিনার জুয়ান মোনাকোকে নিয়ে কাতার ওপেন। এমনকী গত মাসেই ডেভিস কাপে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে স্প্যানিশ কিংবদন্তি ডাবলস খেলেন ফেরনান্দো ভার্দাস্কোর সঙ্গে। ডাবলসের বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়েও প্রথম একশোর মধ্যে (৯৭) আছেন নাদাল। লিয়েন্ডার তাই ২০১৫-এ তিনটে মিক্সড ডাবলস গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব পেলেও প্যারিসে নাদালের সঙ্গে চিরসবুজ ভারতীয় টেনিস তারকার  ডাবলস পারফরম্যান্সের দিকে টেনিস রোম্যান্টিক তাকিয়ে থাকবেই!    

খুলি গুহা না থাক, কঙ্কাল গির্জা কিন্তু সত্যিই আছে!

অরণ্যদেবের খুলি গুহা দেখে ছেলে বয়সে রোমাঞ্চ জাগত। কল্পনায় কেউ কেউ চলেও যেতাম সেখানে। কিন্তু বাস্তবে তো আর তা সম্ভব নয়। তবে খুলি গুহা না হোক কঙ্কাল গির্জায় তো যাওয়া যেতেই পারে। গায়ে শিহরণ জাগাতে খুলি গুহার থেকে কোনও অংশে কম যায় না এই গির্জা।
ইউরোপের চেক রিপাবলিকের একটি গির্জা। যার প্রবেশ দ্বারেই সারি দিয়ে রাখা রয়েছে খুলি। ভিতরে ঢুকলেই সিলিংয়ে লাইন দিয়েছে ঝুলছে ফিমার বোন। আশেপাশে তাকানোরও জো নেই। আপনার দিকেই যেন তাক করে রয়েছে হাজার হাজার হাড়গোড়। সারি সারি কঙ্কাল আর তার মাঝে একা দাঁড়িয়ে। ভাবলেই শিউরে উঠছেন? সেডলেকে গেলে ছোটবেলার সেই রোমাঞ্চ ফিরে পেতে পারেন আপনিও।
চেক রিপাবলিকের সেডলকের একটি গির্জা। যা সাজানো হয়েছে ৪০ হাজার মানুষের হাড়গোড় দিয়ে। চার্চের দেওয়াল, সিলিং পুরোটাই সাজানো হয়েছে এই হাড়গোড় দিয়ে। আর এই গির্জাই এখন অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষের অন্যতম আকর্ষণ।

স্বজাতিকেও চিবিয়ে খেত টির‌্যানোসরাস

কাক কাকের মাংস না খেলেও টির‌্যানোসরাস কিন্তু স্বজাতিকেও রেহাই দিত না। প্রায় সাড়ে ছ’কোটি বছর আগে পৃথিবীর বুকে ঘুরে বেড়ানো এই অতিকায় প্রাণীদের সম্পর্কে এমনটাই দাবি করছেন ক্যালিফোর্নিয়ার লোমা লিন্ডা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ববিদ ম্যাথিউ ম্যাকলেন। কী ভাবে তিনি জানলেন এ কথা?  ম্যাথিউ জানাচ্ছেন, আমেরিকার ল্যান্স ফর্মাশনে মাটি খুঁড়ে টির‌্যানোসরাসের জীবাশ্ম খুঁজে পেয়েছিলেন তাঁরা। তার পর সেই জীবাশ্মের খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে চমকে যান! দেখেন, টির‌্যানোসরাসের একটা হাড়ের দু’টো প্রান্তই ভাঙা। সেখানে গভীর আঘাতের চিহ্ন। যা দেখে গবেষকরা নিশ্চিত, কোনও না কোনও প্রাণী খুবলে খেয়েছিল ওর মাংস। ম্যাথিউয়ের কথায়, ‘‘ঠিক যে ভাবে মানুষ ফ্রায়েড চিকেন খায়, সে ভাবেই খাওয়া হয়েছিল ওকে...।’’
এ প্রমাণ পাওয়ার পরই গবেষকমহলে প্রশ্ন ওঠে, অতিকায় প্রাণীটি কার খাদ্য হয়েছিল? হাড়ের উপর আঘাতগুলো খুটিয়ে দেখে তাঁরা নিশ্চিত হন, খাদক কোনও কুমির নয়। আরও ভয়ানক শক্তিশালী কিছু। আর তাতেই নাম ওঠে ‘টি রেক্স’-এর।
আমেরিকার যে অঞ্চলে ওই জীবাশ্মের সন্ধান মিলেছিল, সেই ল্যান্স ফর্মাশনে এক সময় দু’ধরনের টির‌্যানোসরাস রাজত্ব করতো। টির‌্যানোসরাস রেক্স বা ন্যানোটাইরানস ল্যানসেনসিস— এ ছাড়া আর কেউ হতে পারে না, দাবি করছেন ম্যাথিউ। তিনি বলেন, ‘‘টির‌্যানোসর ছাড়া আর কিছু হতে পারে না...। আর কারও অত বড় দাঁত ছিল না।’’ তবে স্বজাতিকে জ্যান্ত চিবিয়ে খায়নি সে। হত্যাকারীও সে ছিল কি না, নিশ্চিত নন গবেষকরা।  

বিপদের সম্মুখে বিকিনিবাসীরা!

আণবিক বোমা পরীক্ষার জন্য আগেই বাস্তুহারা হয়েছেন তাঁরা। এ বার মারশ্যাল দ্বীপেও বিপদের সম্মুখে বিকিনিবাসীরা! কারণ, আবহাওয়ার অদলবদল। আবহাওয়ার হেরফেরে পর পর কয়েক বছর বন্যায় বেড়ে যাচ্ছে জলের তল। যার জেরে মার্কিন মুলুকে স্থায়ী জায়গা পেতে সচেষ্ট হয়েছেন বিকিনিবাসীরা।
১৯৪৬ সালের আগে মার্কিন মুলুক লাগোয়া একটি দ্বীপে থাকতেন বিকিনিবাসীরা। পরে সেটি আণবিক বোমা পরীক্ষার জন্য নির্বাচন করা হয়। সরিয়ে দেওয়া হয় ওই দ্বীপের সমস্ত বাসিন্দাদের। তাঁদের নতুন ঠিকানা হয় কাছেরই অন্য একটি দ্বীপ-মারশ্যাল। কিন্তু আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে ২০১১ সাল থেকে দ্বীপটি প্রায় প্রতি বছরই বন্যায় জলের তলায় ডুবে যায়। পাণীয় জল এবং খাদ্যের অভাব চরমে। সে জন্যই মার্কিন মুলুকের স্থায়ী বাসিন্দা ওবামা প্রশাসনের কছে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।

আমেরিকা নাক গলাল কেন? এ বার ফিলিপিন্সকে শাসাল চিন



আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে কাজ হয়নি। দক্ষিণ চিন সাগর থেকে যুদ্ধজাহাজ এখনই সরাচ্ছে না পেন্টাগন। তাই ফিলিপিন্সকে এ বার কড়া সতর্কবার্তা পাঠাল বেজিং। দক্ষিণ চিন সাগরে অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইতে চিন-ফিলিপিন্স দ্বন্দ্ব ঘিরেই ঘনিয়েছে যুদ্ধের মেঘ। তাই বেজিংয়ের হুঁশিয়ারি, চিনের সঙ্গে কথা বলেই সমস্যা মিটিয়ে নিক ফিলিপিন্স। না হলে ফল ভাল হবে না।
চিনা বিদেশ মন্ত্রক শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে বলেছে, আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে করা মামলা ফিলিপিন্স প্রত্যাহার করে নিক এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখুক। প্রকারান্তরে বেজিং বলতে চেয়েছে, জলসীমা নিয়ে দু’দেশের বিরোধের বিষয়টি নিয়ে যদি ফিলিপিন্স আন্তর্জাতিক মঞ্চে হইচই করা বন্ধ না করে, তা হলে ফল খারাপ হবে। গোটা পরিস্থিতির জন্য ফিলিপিন্সকেই দায়ী করে চিনের বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, ‘‘ফিলিপিন্সের প্রচারে থাকার চেষ্টা বেজিং ও ম্যানিলার মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস নষ্ট করছে। ফিলিপিন্সের প্ররোচনায় দু’দেশের সম্পর্ক নজিরবিহীনভাবে তলানিতে পৌঁছেছে।’’ কূটনৈতিক রীতিনীতির নিরিখে চিনা বিদেশ মন্ত্রকের বয়ানের এই ভাষা অত্যন্ত কঠোর। সচেতনভাবেই চিন ফিলিপিন্সকে এমন কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে বলে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
দক্ষিণ চিন সাগরে জলসীমা নিয়ে চিনের সঙ্গে একাধিক দেশের বিরোধ রয়েছে। শুধু ফিলিপিন্স নয়- জাপান, ভিয়েতনামের সঙ্গেও জলসীমা নিয়ে চিনের বিবাদ দীর্ঘ দিনের। ফিলিপিন্সের কাছাকাছি সমুদ্রে একটি কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করে সেখানে নানা সামরিক পরিকাঠামো তৈরি করছে চিন। ফিলিপিন্সের দাবি, ওই এলাকা ফিলিপিন্সের জলসীমায়। বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হয় ফিলিপিন্স। চিন প্রথম থেকেই ট্রাইব্যুনালকে মানতে চায়নি। তাদের দাবি, নিজেদের জলসীমায় দ্বীপ তৈরি করেছে তারা। কিন্তু, বন্ধু রাষ্ট্র ফিলিপিন্সের পাশে দাঁড়াতে আমেরিকা দক্ষিণ চিন সাগরে যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে চিনের বিরুদ্ধে সুর চড়ায় ট্রাইব্যুনাল। বেজিংকে জানানো হয়, বিষয়টির মিমাংসা ট্রাইব্যুনালই করবে। কারণ যেখানে চিন দ্বীপ তৈরি করে সামরিক পরিকাঠামো গড়ছে, তা আদৌ চিনের জলসীমার মধ্যে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
দক্ষিণ চিন সাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজের হানাদারি ঘিরে দু’দেশের মধ্যে পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত। এ নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে চিন ও আমেরিকার কথাও হয়েছে। কিন্তু সমস্যা মেটেনি। তাই এবার ফিলিপিন্সকেই সরাসরি সতর্কবার্তা।

Thursday, October 29, 2015

জাঙ্কফুড যখন স্বাস্থ্যকর!

নিজের ওজন নিয়ে কি আজকাল খুব ভাবছেন?  জাঙ্কফুড আর আপনি কি এখন দুই মেরুর বাসিন্দা? মন জাঙ্ক ফুডের জন্য উরু উরু, কিন্তু স্লিম ট্রিম ফিগারের চক্করে ও দিকে ফিরে তাকানোও মানা? তা হলে এ বার খানিকটা নিশ্চিন্ত হন। সেদ্ধ, তেল মশলাহীন বিস্বাদের কঠিন ডায়েট চার্ট থেকে খানিক বেরিয়ে আসুন। বাজারে এমন অনেক জাঙ্ক ফুডই কিন্তু আছে যেগুলো একই সঙ্গে আপনার জিভের রসনা তৃপ্তি করবে, বজায় রাখবে সুস্বাস্থ্যও।
ডবল রোলে পারফেক্ট পাঁচটি জাঙ্ক ফুডের হদিশ রইল আপনাদের জন্য-
১) চকোলেট- শরীরের মেদ ঝড়াবার তাগিদে ভুলেও চকোলেটের সঙ্গে আড়ি করে বসবেন না যেন! চকোলেট কিন্তু বেজায় স্বাস্থ্যকর। চকোলেটে আয়ু বাড়ে। জার্নাল অফ নিউট্রিশনে প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্র অনুযায়ী, চকোলেটের মধ্যে যে পলিফেনল থাকে, তা মৃত্যুর সম্ভাবনা ৩০% কমিয়ে দেয়। আর আপনি যদি ডার্ক চকোলেট প্রেমী হন, তা হলেতো সোনায় সোহাগা। হার্টের সমস্যা নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাতে হবে না। ডার্ক চকোলেটে ভরপুর ফ্ল্যাভোনয়েডস থাকে। শরীরকে ফিট রাখতে এই অ্যান্টি অক্সিড্যান্টের জুরি মেলা ভাল।  
২) ফ্রেশ ক্রিম- নামটা শুনেই চমকে গেলেন তো? হ্যাঁ ক্রিমের মধ্যে ৯০% ফ্যাট থাকে। কিন্তু মজার কথা তা মোটেও ক্ষতিকর নয়। এক সঙ্গে সাধারণত, দুই টেবিল চামচের বেশি ক্রিম কেউই খান না। এতে থাকে ৫২ ক্যালোরি। ১ টেবিল স্পুন মেয়োনিজের থেকে যা অনেক কম। এমনকি এক গ্লাস ২% রিডিউশড ফ্যাট মিল্কেও এর থেকে বেশি ক্যালোরি থাকে। তাই এ বার থেকে একটু ক্রিম খেয়ে ফেললে আর অনুশোচনা করার বিশেষ প্রয়োজন নেই।
৩) পপকর্ন- সিনেমা দেখতে গেছেন, সঙ্গে এক বাকেট পপকর্ন নেই, তা-ও আবার হয় নাকি? কিন্তু ডায়েটেশিয়ানের মানা, তাই ও পথ বিশেষ মাড়ানো হয় না। ডায়েটেশিয়ানকে বুড়ো অঙুল দেখান। ঝাঁপিয়ে পড়ুন পপকর্ন বাকেটের উপর। ভুট্টার খইয়ে পলিফেনল আর অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট থাকে। এই যৌগগুলো হার্টের দেখভাল করে। বেশ কিছু ক্যান্সারের পথ অবরোধ করে।
৪) বিয়ার- মদ্যপানে টোটাল নো-নো বলার দরকার নেই। বিয়ার কিন্তু আসলে বেশ উপকারী। এর মধ্যে প্রচুর প্রচুর অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট আর সিলিকন থাকে। হাড়ের মিনেরলস-এর ভারসাম্য বজায় রাখতে যা ভীষণ ভাবেই এফেক্টিভ।
৫) কেচাপ- কেচাপের প্রতি অগাধ প্রেম? কিন্তু আপাতত সেই প্রেমের বিরহ পর্ব চলছে? প্রেমে ফিরে আসুন। চিন্তা ছুঁড়ে ফেলে কেচ্যাপে ফের মনোনিবেশ করুন। যাদের কাছে টম্যাটো কেচাপ ছাড়া সব কিছুই কার্ডবোর্ডের  মত খেতে লাগে তাদের জন্য সুখবর। কেচাপে প্রচুর লাইকোপিন থাকে, কার্ডিওভাসকুলার অসুখ বিসুখ রোধে যা এক কথায় অনবদ্য।
অতএব টেস্টি খানা খেতে থাকুন। তবে ‘কোন কিছুই অতিরিক্ত ভাল না’-এই কথাটা মাথায় রাখবেন। লাইসেন্স পেয়ে গেছেন ভেবে যদি লাগাম ছাড়া খাওয়া দাওয়া শুরু করেন তাহলে আপনার মোটা হওয়া আটকাবে কার সাধ্যি! তাই প্রাণ ভরে খান, কিন্তু মেপে।

এ বার ফরাসি প্রযুক্তির সর্বাধুনিক সাবমেরিন ভারতের হাতে

ভারতীয় নৌবাহিনীর অস্ত্র ভাঁড়ারে আসছে নতুন রসদ। একেবারে সর্বাধুনিক সাবমেরিন ‘আইএনএস কালভারি’।
যা থেকে অনায়াসে ছোঁড়া যাবে যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করার টর্পেডো আর ক্ষেপণাস্ত্র।
ফরাসি প্রকৌশলে বানানো ‘স্করপিন’ মডেলের মোট ছ’টি সাবমেরিন আসছে ভারতীয় নৌবাহিনীর অস্ত্র ভাঁড়ারে। এর মধ্যে একটিকে কাল প্রথম জলে ভাসানো হয়েছে আরব সাগরে। এক বছর ধরে সমুদ্রে তার কার্যকরী ক্ষমতা পরখ করে দেখা হবে। তার পর আগামী সেপ্টেম্বরে ওই সর্বাধুনিক সাবমেরিনটিকে নিয়ে আসা হবে ভারতীয় নৌবাহিনীতে।
৬৭ মিটার লম্বা ‘স্করপিন’ মডেলের এই সাবমেরিনটির ওজন দেড় হাজার টনেরও বেশি। চওড়া প্রায় সাড়ে ছয় মিটার। সাবমেরিনটি চালানো যায় ডিজেল ও বিদ্যুতে। সাবমেরিনটি এমন ভাবে বানানো হচ্ছে যাতে তা অনেক ক্ষণ জলের তলায় ডুবে থাকতে পারে।
ফরাসি অস্ত্র নির্মাণ সংস্থা ডিসিএনএসের সঙ্গে কুড়ি হাজার কোটি টাকার চুক্তিতে ওই ছ’টি সাবমেরিন বানানো হচ্ছে মুম্বইয়ের মাড়গাঁও ডকস লিমিটেড বা এমডিএলে। সাবমেরিনটির ৩০ শতাংশ যন্ত্রাংশ বানানো হয়েছে ভারতে। বাকিটা আনা হয়েছে ফরাসি সংস্থাটির কাছ থেকে। পাঁচ বছরের মধ্যে সবকটি সাবমেরিনই বানানো হয়ে যাবে।
এই মূহুর্তে ভারতীয় নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৩টি সাবমেরিন। সবকটিই বেশ পুরনো। বেশির ভাগ সময়েই কাজ চালানো হয় ৬টি সাবমেরিন দিয়ে।

Tuesday, October 27, 2015

উন্নত পরিষেবা দিতে বিকল্প পথে বিএসএনএল

পরিষেবার মান নিয়ে বিএসএনএল গ্রাহকদের অভিযোগের অন্ত নেই। হয় ল্যান্ডলাইন খারাপ দিনের পর দিন, নয়তো মোবাইল ‘সিগনাল’ অমিল। গ্রাহক অসন্তুষ্টির সেই বোঝার উপর শাকের আঁটি জাতীয় সড়কে কাজের জন্য সংস্থাটির অপটিক্যাল ফাইবার কেব্‌ল (ওএফসি) কেটে মাঝেমধ্যেই গোটা পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে যাওয়া। সমস্যা এতটাই যে, গত পাঁচ মাসে বিএসএনএলের পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলে শুধু এ জন্যই কয়েক হাজার গ্রাহক ল্যান্ডলাইন ছেড়ে দিয়েছেন বলে সংস্থা সূত্রের খবর। ফলে এই সার্কেলকেও প্রচুর লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে। ক্ষুণ্ণ হচ্ছে সংস্থার ভাবমূর্তিও।
গ্রাহকের এ ধরনের ভোগান্তি ও ব্যবসার ক্ষতি এড়াতে এ বার তাই পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি। নিজেদের ওএফসি-র পাশাপাশি বিকল্প ব্যবস্থায় ফোনের পরিষেবা চালু রাখতে তারা পাওয়ার গ্রিড-এর ‘ওভারহেড’ ওএফসি-ও ভাড়া করছে। পাওয়ার গ্রিডের যে-লাইন দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়, তারই মধ্যে থাকা ওএফসি দিয়ে আলাদা ভাবে ফোনের পরিষেবাও দেবে বিএসএনএল-এর পশ্চিমবঙ্গ সার্কেল। মাস দেড়েকের মধ্যে গোটা ব্যবস্থা চালু হবে বলে আশা সংস্থা-কর্তাদের। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মতো দেশের কিছু এলাকায় এই ব্যবস্থায় ফোনের পরিষেবা চললেও পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথম তা চালু হবে।
নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বিএসএনএলের পরিষেবার মান নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। পাশাপাশি জলের লাইন বা বিদ্যুতের লাইনের কাজের জন্য মাটির তলায় সংস্থাটির ওএফসি কেটে গেলেও পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। কলকাতায় এ রকম ঘটনায় বারবারই অন্য সংস্থা বা স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তোলে ক্যালকাটা টেলিফোন্স।
অন্য দিকে, জাতীয় সড়কের সম্প্রসারণ বা রাস্তার অন্য কাজের জন্য একই ভাবে ভুক্তভোগী বিএসএনএল-এর পশ্চিমবঙ্গ সার্কেল। রাজ্যে পরিষেবা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন এলাকার মধ্যে সংস্থার ওএফসি-র আলাদা আলাদা ‘লিঙ্ক’ রয়েছে। তার মধ্যে কলকাতা থেকে আসানসোল, দুর্গাপুর, বহরমপুর এবং রায়গঞ্জ থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত চারটি ‘লিঙ্ক’ রাস্তার কাজের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংস্থা সূত্রের খবর, ওই সব এলাকায় সপ্তাহে গড়ে প্রায় দু’বার করে কেব্‌ল কাটা পড়ছিল। গোটা এলাকা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় ল্যান্ডলাইন, ব্রডব্যান্ড, মোবাইল পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। মেরামতির পরে ফের তা শুরু হলেও কেব্‌ল কাটার ঘটনা ঘটছিল বারবার। ফলে গত এপ্রিল থেকে অগস্টের মধ্যে শুধু আসানসোল-দুর্গাপুর এলাকাতেই ল্যান্ডলাইন-ব্রডব্যান্ড-মোবাইল ফোন মিলিয়ে সার্বিক ভাবে বিএসএনএলের পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলে ২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। কলকাতা-বহরমপুর ‘লিঙ্ক’ একই সমস্যায় পড়লেও ক্ষতির বহর কিছুটা কম, প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা।
শুধু টাকার অঙ্কে লোকসানই নয়, পরিষেবা বন্ধ থাকায় তিতিবিরক্ত গ্রাহকদের অনেকেই বিএসএনএল সংযোগ ছাড়েন। যা সংস্থার ভাবমূর্তিতে ধাক্কা দেয়। সংস্থা সূত্রের খবর, এই সময়ের মধ্যে প্রায় ১৫ হাজার গ্রাহক তাঁদের ল্যান্ডলাইন ছেড়ে দিয়েছেন। এর মধ্যে ৩০-৩৫ শতাংশের ক্ষেত্রে এই সমস্যাই দায়ী বলে মনে করছেন পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলের কর্তারা।
সংস্থার রাজ্য সার্কেলের চিফ জেনারেল ম্যানেজার (সিজিএম) কিশোর কুমার জানান, মাটির তলার ওএফসি কেটে গেলে বিকল্প ব্যবস্থায় পরিষেবা চালু রাখতে পাওয়ার গ্রিডের পরিকাঠামো ব্যবহারের প্রস্তাব দেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘‘পাওয়ার গ্রিডের ওএফসি উপর দিয়ে যাওয়ায় মাটির নীচের কেব্‌ল কাটা পড়লেও পরিষেবা চালু থাকবে।’’ তাঁদের আশা, এ ভাবে নিরবচ্ছিন্ন পরিষেবার নিশ্চয়তা পেলে পুরনো গ্রাহকদের ফের ঘরে ফেরানো যাবে। নতুন গ্রাহকেরাও আগ্রহী হবেন বিএসএনএলের সংযোগ নিতে ।
কুমার জানান, মালদহ-শিলিগুড়ি-কলকাতা, এই ‘রুট’-এ পাওয়ার গ্রিডের ওএফসি ব্যবহারের জন্য সদর দফতরের সায় পেয়েছেন তাঁরা। আশা, বাকি ‘রুট’-গুলিতেও সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে চূড়ান্ত সম্মতি মিলবে। সায় মেলার পরে পুরো ব্যবস্থা কার্যকর হতে দেড়-দু’মাস সময় লাগে বলে জানান তিনি।

বেজিং-এর হুঁশিয়ারি উড়িয়ে দক্ষিণ চিন সাগরে অব্যাহত মার্কিন অভিযান

জলভূমি দখলে বেজিংয়ের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতের নেমে পড়ল ওয়াশিংটন। চিনের সব আপত্তি উড়িয়ে দক্ষিণ চিন সাগরে প্রবেশ করল মার্কিন রণতরী। এটাই শেষ নয়, ওই অঞ্চল দখলে অব্যাহত থাকবে নৌ-বাহিনীর অভিযান। সাফ জানিয়েছেন আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব। ‘‘এই মুহূর্তে দক্ষণ চিন সাগরে আমাদের অভিযান চলছে। আগামী সপ্তাহ, এমনকি মাস ব্যাপী এই অভিযান চলবে।’’ বলেছেন কার্টার। দক্ষিণ চিন সাগরের অধিকার নিয়ে এই মুহূর্তে রীতিমতো উত্তপ্ত  চিন-আমেরিকা সম্পর্ক। পৃথিবীর অন্যতম ব্যস্ত সমুদ্র অঞ্চল দক্ষিণ চিন সাগরের বেশির ভাগ অংশ বহুদিন ধরেই নিজেদের বলে দাবি করে চিন। সেখানে কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জও তৈরি ফেলেছে তারা। এবার চিনের সেই একাধিপত্যে ভাগ বসাতে চায় আমেরিকা। মঙ্গলবার সুবি এবং মিসচিফ রিফের কাছাকাছি পৌঁছে যায় একটি মার্কিন রণতরী। বুধবার  রণতরীটি চিনের কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জের ১২ মাইল পরিধির মধ্যে প্রবেশ করে গেছে। ওয়াশিংটনের দাবি আন্তর্জাতিক আইন মেনেই এই অভিযান চালাচ্ছে তারা। প্রতিরক্ষা সচিবের কথায় ‘‘এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে সমতা বজায় রেখে  আমেরিকার ভবিষ্যত সুরক্ষিত করতেই আমারা এই অভিযান চালাচ্ছি।’’
অন্যদিকে আমেরিকার এই চ্যালেঞ্জে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চিন। জানিয়েছে নিজেদের অঞ্চলে অন্য কারও খবরদারি তারা বরদাস্ত করবে না। আমেরিকায় চিনের রাষ্ট্রদূত বলেছেন ‘‘পেশি শক্তি দেখিয়ে এভাবে অন্যের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের আগে ১০ বার ভাবা উচিত আমেরিকার, কোনও রকম প্ররোচনামূলক কার্যকলাপের ফলে যদি আঞ্চলিক শান্তি নষ্ট হয়, তার দায় আমেরিকার উপরেই বর্তাবে।’’
বেজিং-এর এই অভিযোগকে অবশ্য পাত্তা দিচ্ছে না হোয়াইট হাউস। তাদের দাবি, সমুদ্রের ওই অংশের উপর অধিকার সব দেশের। কেউই সেখানে একাধিপত্য কায়েম করতে পারে না। ‘‘এটা অধিকারের প্রশ্ন। আমাদের স্বাধীনতা কেউই কেড়ে নিতে পারে না।’’ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি। তবে নির্দিষ্ট কোনও সেনা অভিযানের পথে আমেরিকা হাঁটবে কিনা, সেই ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি ওয়াশিংটন।
আমেরিকার  অবশ্য দাবি এই অভিযানের ফলে চিনের সঙ্গে তাদের সম্পর্কে বিন্দুমাত্র চিড় ধরবে না।

সসেজ, প্যাকেটের মাংস ডাকতে পারে ক্যানসার

শুধু সিগারেট নয়। ক্ষতিকর সসেজও! বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর দাবি তেমনটাই। ক্যানসারের ঝুঁকি এড়াতে প্রক্রিয়াজাত (প্রসেসড) মাংসকে দৈনন্দিন খাদ্যতালিকা থেকে দূরে রাখার পরামর্শ দিয়েছে তারা।
সিগারেটের প্যাকেটে যেমন ক্যানসারের ঝুঁকির কথা উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক, এ বার ওই ধরনের প্যাকেটবন্দি খাবারের ক্ষেত্রেও তা চালু করা যায় কি না, সে ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন, শুধু সসেজ-বেকন-সালামি নয়, যে কোনও ধরনের খাবার যা সংরক্ষণের জন্য বিশেষ রাসায়নিক (প্রিজার্ভেটিভ) ব্যবহার করা হয়, তাকে এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
চিকিৎসকদের মতে, ক্যানসারের ইতিবৃত্ত এখনও রহস্যে ঠাসা। তাই বহু ক্ষেত্রেই নানা সাবধানতা নেওয়া সত্ত্বেও আচমকা রোগটা থাবা বসায় শরীরে। কিন্তু যে সব ক্ষেত্রে বিপদগুলো জানা, ঝুঁকির দিকগুলোও বহু আলোচিত, সেই সব ক্ষেত্রেও কি সতর্ক থাকছেন সাধারণ মানুষ? ক্যানসারকে বহুলাংশেই ‘লাইফ স্টাইল ডিজিজ’ বলে চিহ্নিত করার পরেও কি সম্বিৎ ফিরছে কারও?
চিকিৎসকরা বলছেন, ফিরছে না। আর তাই প্রক্রিয়াজাত খাবারের এমন রমরমা বাজারে। বহু পরিবারেই সকালের খাবারে বা ছোটদের স্কুলের টিফিনে প্রক্রিয়াজাত মাংসের নানা পদ জায়গা করে নেয় প্রায় রোজই। চিকিৎসকদের মতে, এমনিতেই ‘রেড মিট’ নিয়মিত খাওয়া ঠিক নয়, তার ওপরে প্যাকেটবন্দি রেড মিটের সসেজ বা বেকন আরও ক্ষতিকর।
কেন? বায়োকেমিস্ট্রির বিশেষজ্ঞ কৃষ্ণজ্যোতি গোস্বামী জানান, বহু খাবার সংরক্ষণের জন্য (প্রিজার্ভেটিভ) বিউটিলেটেড হাইড্রক্সিটলুয়েন এবং বিউটিলেটেড হাইড্রক্সিঅ্যানিসোল নামে দুই রাসায়নিক ব্যবহৃত হয়। এই রাসায়নিকগুলি জিনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যা থেকে ক্যানসারের ঝুঁকি রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘খাবার সংরক্ষণের জন্য সোডিয়াম ওমাডিন নামে একটি রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, যার জেরে শরীরে ট্রান্সফ্যাট জমার প্রবণতা অনেকটাই বেড়ে যায়। ট্রান্সফ্যাট হল এমন ধরনের ফ্যাট যাকে পোড়ানো যায় না। শরীরের পক্ষে এটি খুবই বিপজ্জনক। তার ওপরে প্রসেসড ফুড বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্লাস্টিকের মোড়কে থাকে। সোডিয়াম ওমাডিন সেই প্লাস্টিক থেকে কার্সিনোজেনিক বা ক্যানসার সৃষ্টিকারী পদার্থগুলিকে বার করে খাবারে মিশতে সাহায্য করে।’’
একই ব্যাখ্যা বায়োকেমিস্ট্রির চিকিৎসক শান্তা সাহা রায়েরও। তিনি বলেন, ‘‘খাবার সংরক্ষণের রাসায়নিকগুলি শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর। আবার রেড মিট-ও ক্ষতিকর। ওই দু’টি যদি একসঙ্গে মেশে তা হলে তার ফল হতে পারে ভয়াবহ।’’
এবং সেটাই হচ্ছে। ব্রেকফাস্টে পর্ক সসেজ, বোতলবন্দি ফলের রস, দুপুরে হ্যাম স্যান্ডউইচ কিংবা বার্গার, সঙ্গে এনার্জি ড্রিঙ্ক। হালফিলের কর্পোরেট জীবনের সঙ্গে দিব্যি খাপ খেয়ে যায়। ফাস্ট ফুডে মজে থাকা শিশুদের কাছেও এই মেনু দারুণ পছন্দের। সহজলভ্য। বাড়িতে রান্না করার ঝামেলাও নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্যাকেটবন্দি এই সব আমিষ খাবার এক-আধ দিন চলতে পারে। কিন্তু নিয়মিত এ সব খাওয়ার অর্থ রোগকে আদর করে ঘরে ডেকে আনা।
ক্যানসার চিকিৎসকরা মনে করছেন, দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় সিগারেট এবং মদকে যে ভাবে ক্যানসারের অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, ঠিক সে ভাবেই প্রক্রিয়াজাত মাংসকেও শত্রুতালিকায় ঢোকানো উচিত। ক্যানসার চিকিৎসক অনুপ মজুমদার বলেন, ‘‘নুন এবং তার সঙ্গে অন্য নানা রাসায়নিক মিশিয়ে খাবার সংরক্ষণ করা হয়। প্রোটিনের সঙ্গে প্রতিক্রিয়ায় তা বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। সংরক্ষণের জন্য যা যা ব্যবহার করা হয়, তা একক ভাবে হয়তো ততটা ক্ষতিকর নয়, কিন্তু একসঙ্গে তা খুবই বিপজ্জনক।’’ একই বক্তব্য ক্যানসার চিকিৎসক সুবীর গঙ্গোপাধ্যায়েরও। তিনি বলেন, ‘‘আমরা কাবাব খেতে বারণ করি, কারণ মাংস পোড়ানোর সময়ে যে রাসায়নিক তৈরি হয় তা থেকে ক্যানসার হতে পারে। প্রক্রিয়াজাত মাংসের ক্ষেত্রেও তাই। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এর কোনওটাই মাঝেমধ্যে খেলে সমস্যা নেই। টানা বহু বছর যদি কেউ খেয়ে যান, তা হলে সমস্যার ঝুঁকি ষোলো আনা।’’
খাওয়াদাওয়ার ভুল অভ্যাস এবং নিয়মিত শরীরচর্চার অভাবে স্থূলত্বের সমস্যা ঊর্ধ্বমুখী। ইতিমধ্যেই একে ক্যানসারের কারণ হিসেবে দায়ী করেছে বিশ্বের বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান। ক্যানসার শল্য চিকিৎসক গৌতম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনার সময় এসে গিয়েছে। সময় বাঁচাতে এবং মুখরোচক হিসেবে যা যা খাওয়া হচ্ছে, তা শরীরের পক্ষে কতটা ক্ষতিকর তা বিচার করতেই হবে। অন্যথায় বড় বিপদ আসবে। ক্যানসার সম্পর্কে অনেক কিছুই অজানা, কিন্তু যেটুকু জানা, সে ব্যাপারে আমরা কেন সতর্ক হব না?’’
ডায়েটিশিয়ান রেশমী রায়চৌধুরীও জানিয়েছেন, এমন নানা ঝুঁকির কথা ভেবেই প্রসেসড ফুড থেকে দূরে থাকার পরামর্শই দেন তাঁরা। তিনি জানান, নিরামিষ খাবার সংরক্ষণে যে ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার হয়, আমিষ (অ্যানিম্যাল প্রোটিন) সংরক্ষণে ব্যবহৃত রাসায়নিক তার চেয়ে অনেক বেশি কড়া এবং ক্ষতিকর। এগুলি নিয়মিত খেলে বার্ধক্য আসে, ক্যানসারের ঝুঁকিও বেড়ে় যায়। তিনি বলেন, ‘‘এমনিতেই পরিবেশ দূষণের প্রভাব মারাত্মক। সেটা আমরা চাইলেও পুরোটা ঠেকাতে পারি না। কিন্তু খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানার ব্যাপারটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে। ভবিষ্যতের কথা ভেবে সেটুকু তো করাই উচিত।’’

রাতেও এ বার বিমান নামবে আন্দামানে

অন্ধকার চিরে সমুদ্রের ঢেউয়ের মাথা ছুঁয়ে এই প্রথম রাত্রিবেলা বিমান নামল পোর্ট ব্লেয়ারে।
বিষয়টি আদৌ সহজ ছিল না। রানওয়ের এক দিকে পাহাড়, অন্য দিকে সমুদ্র। পাহাড়ের দিক দিয়ে ওঠানামা করা যায় না। সমুদ্র থেকে মাঝেমধ্যে বেসামাল হাওয়া এলোমেলো করে দেয় বিমানবন্দরকে। হাওয়ার গতির সামান্য ভুলচুক হলে পাহাড়ে আছড়ে পড়তে পারে বিমান।
মঙ্গলবার তাই প্রথমে পরীক্ষামূলক ভাবে চালানো হল এই বিমান। একেবারে ফাঁকা সেই বিমানের ককপিটের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হল এমন এক পাইলটের হাতে, যিনি ২০০৪ সালে সুনামি মাথায় করে নেমে পড়েছিলেন পোর্ট ব্লেয়ারে। ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর পোর্ট ব্লেয়ারের রানওয়েতে তখন একের পর এক চিড় দেখা দিচ্ছে। ওই অবস্থায় বিমান নিয়ে সেখান থেকে টেক-অফও করেছিলেন ক্যাপ্টেন জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে রাতে পোর্ট ব্লেয়ারে নামার ক্ষেত্রে তাঁর ওপরই ভরসা করেছেন এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। গত এপ্রিলেই দিল্লি থেকে পোর্ট ব্লেয়ারের উড়ান চালু করেছে তারা। সেই উদ্বোধনী উড়ানে ছিলেন বিমানমন্ত্রী গজপতি রাজু আর ককপিটে জয়দীপ।
এই মুহূর্তে কলকাতা, চেন্নাই, দিল্লি থেকে নিয়মিত উড়ান রয়েছে পোর্ট ব্লেয়ারের। পোর্ট ব্লেয়ার বিমানবন্দর সূত্রের খবর, সকাল দশটা পর্যন্ত হাওয়ার প্রকোপ থাকে না। তাই এয়ার ইন্ডিয়া-সহ সমস্ত বিমান সংস্থাই চেষ্টা করে সকাল সাড়ে ন’টার মধ্যে পোর্ট ব্লেয়ারে পৌঁছে আধ ঘণ্টার মধ্যে সেখান থেকে টেক-অফ করে যেতে। জয়দীপ বলেন, ‘‘টেক-অফ, ল্যান্ডিং দুই ক্ষেত্রেই বিপরীতমুখী হাওয়ার দরকার হয়। সকাল দশটার পর পোর্টব্লেয়ারে হাওয়ার দিক বদলাতে শুরু করে। তখন সেখান থেকে ওঠা-নামা করাটাই মুশকিল হয়ে যায়।’’ হাওয়ার এই দাপট চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। এখন রাতে যদি বিমান ওঠানামা করতে শুরু করে, তা হলে সকালের ওই সময়টা সবাই মিলে ভিড় করবে না। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের আশা, সে ক্ষেত্রে উড়ানের সংখ্যা বাড়বে। প্রত্যন্ত আন্দামানের সঙ্গে দেশের মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগও বাড়বে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের রিজিওনাল ডিরেক্টর শুদ্ধসত্ত্ব ভাদুড়ি জানান, রাতে বিমান ওঠানামার জন্য রানওয়েতে পর্যাপ্ত আলো লাগানো হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও বিমানসংস্থা রাতে বিমান চালাবে বলে লিখিত ভাবে জানায়নি। তাঁর কথায়, ‘‘৪৫০ কোটি টাকা দিয়ে নতুন টার্মিনাল বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে। পরবর্তী কালে এই বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে তুলে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’

৩৫০০ বছরের সমাধি ও সম্পদ মিলল গ্রিসে



প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছর আগেকার হারানো ইতিহাসের খোঁজ মিলল গ্রিসের মাটিতে।
গ্রিসের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের প্রাচীন শহর পাইলোয় প্রত্নতত্ত্ববিদ দম্পতি জ্যাক এল ডেভিস এবং শ্যারন আর স্টকারের নেতৃত্বে খননকার্য চালাচ্ছিল একটি দল। গত ২৫ বছর ধরে পাইলোতেই কাজ করছেন তাঁরা। প্রাচীন যুগের বাসিন্দাদের বাড়িঘর খুঁজে বের করে তাঁদের নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছিলেন। ১৮ মে সেখানে একটি সমাধির খোঁজ পান দম্পতি। তবে বিশেষ গুরুত্ব দেননি। ভেবেছিলেন কোনও পুরনো বাড়ি। বিশেষত্বও তো কিছুই ছিল না।
তবে দিন কয়েকেই ভুল ভাঙল তাঁদের। ৫ ফুট গভীর, ৪ ফুট চওড়া এবং লম্বায় প্রায় ৮ ফুট সমাধিটিতে নেমে চোখ কপালে উঠে যাওয়ার জোগাড়। সমাহিত ব্যক্তির যে টুকু দেহাবশেষ তখনও অবশিষ্ট ছিল, তা বিশ্লেষণ করা হয়। জানা যায় মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স ছিল ৩০ থেকে ৩৫-এর মধ্যে। কফিনের বঁা দিকে রাখা ছিল ব্রোঞ্জের একটি বিশাল তলোয়ার, হাতল হাতির দাঁত দিয়ে বাঁধানো। ছিল সোনা দিয়ে কাজ করা একটি ছোরাও। ডান দিকে চোখে পড়ে গোটা পঞ্চাশেক সিলমোহর, চারটি সোনার আংটি। তার কারুকার্যে মিনো সভ্যতা (২০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ক্রিট দ্বীপে গড়ে উঠেছিল এই সভ্যতা)-র ছাপ স্পষ্ট। সমাধিতে সোনা, রুপো এবং ব্রোঞ্জের পেয়ালা ছিল বেশ কয়েকটি। সমাহিত ব্যক্তির পায়ের কাছে ছিল হাতির দাঁত দিয়ে তৈরি করা একটি স্মারক। তাতে খোদাই করা ছিল ‘গ্রিফিন’ নামের এক পৌরাণিক প্রাণীর অবয়ব। ডঃ ডেভিস এবং ডঃ স্টকার তাই ওই সমাধির নাম দিয়েছেন ‘গ্রিফিন যোদ্ধার সমাধি’।
ওই ব্যক্তি যে তৎকালীন সমাজে এক জন গণ্যমান্য যোদ্ধা ছিলেন, সে প্রমাণ প্রত্নতত্ত্ববিদেরা পেয়েছেন। প্রাচীন কালের ওই যোদ্ধা যে সাজতে-গুজতেও পছন্দ করতেন, সমাধি ঘেঁটে সেই প্রমাণও মিলেছে। অস্ত্র ছাড়াও হাতির দাঁতের হাতল-সহ একটি ব্রোঞ্জের আয়না এবং হাতির দাঁতের গোটা ছয়েক চিরুনিও মিলেছে সেখান থেকে। ওই প্রত্নতত্ত্ববিদ দম্পতির কথায়, ‘‘গত ৬৫ বছরে এমন সম্পদশালী সমাধি আর একটিও আবিষ্কার হয়নি। আশ্চর্যের বিষয়, এই সমাধির অস্তিত্বের কথাও কেউ জানত না। তাই তিন শতকেরও বেশি অক্ষত রয়েছে প্রতিটি জিনিস। আমরাই প্রথম সেখানে পৌঁছেছি ভেবেই অদ্ভূত লাগছে।’’ আরও অদ্ভুত হল ওই ব্যক্তিকে সমাহিত করার সময়। ১৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সমাধিটি তৈরি হয়। এর কয়েক বছর পরেই ওই সমাধিটির কাছাকাছি এলাকায় তৈরি হয় নেস্টরের প্রাসাদ। যাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে একটি সাম্রাজ্য। ১১৮০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তার পতন হয়। ঠিক এই রকম সময়েই পতন হয়েছিল হোমারের ট্রয়-এরও।
এখানেই ধন্দে প্রত্নতত্ত্ববিদেরা। ‘গ্রিফিন যোদ্ধার’ সমাধিতে যে সব জিনিস পাওয়া গিয়েছে, সেগুলিতে মিনো সভ্যতার ছাপ স্পষ্ট। কিন্তু যে জায়গা থেকে সমাধিটি উদ্ধার হয়েছে সেখানে গড়ে উঠেছিল মাইসিন সভ্যতা। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে মিনো এবং মাইসিনরা একাধিক বার যুদ্ধে জড়িয়েছে। ফলে ‘গ্রিফিন যোদ্ধা’র সমাধি থেকে পাওয়া সম্পদগুলি তাঁর নিজের এলাকার নাকি লুঠতরাজ করে পাওয়া— সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এমনকী যে ধরনের জিনিসগুলি তাঁর সমাধিতে দেওয়া হয়েছে, তার কোনও অন্তর্নিহিত অর্থ থাকতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। দুই সভ্যতার বহু অজানা প্রশ্নের উত্তর এই সমাধিতেই লুকিয়ে রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা।

ভূকম্পে মৃত বেড়ে ৩৪০, সাহায্যের আশ্বাস তালিবানের

ভূমিকম্পের জেরে এখনও বেসামাল পাকিস্তান-আফগানিস্তানের বিস্তীর্ণ অংশ। গত কাল দুপুরে কয়েক সেকেন্ডের কম্পনেই কার্যত ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে দু’দেশের পাহাড় ঘেঁষা বেশ কয়েকটি জনপদ। তিনশো ছাড়িয়েছে মৃতের সংখ্যা। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে উদ্ধারকাজে নেমেছে পাক সেনা। তবে হিন্দুকুশের দুর্গম এবং বিচ্ছিন্ন এলাকার সব জনপদে এখনও পৌঁছতেই পারেনি উদ্ধারকারী দল। ফলে ক্ষয়ক্ষতির সার্বিক চেহারাটা এখনও সামনে আসেনি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, দেশের দুর্দিনে ভূকম্প-দুর্গতদের সব রকম ভাবে সাহায্য করার আশ্বাস দিয়ে ইন্টারনেটে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে তালিবান। জানিয়েছে, তাদের  সংগঠনের নেতারাও সব রকম ভাবে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াবে।
আজ রাত পর্যন্ত সরকারি সূত্রে পাওয়া খবর অনুসারে, দু’দেশ মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ৩৪০। আজ পাকিস্তানের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা পর্ষদ জানিয়েছে, শুধু পাকিস্তানেই মারা গিয়েছেন ২৫০ জন। অপেক্ষাকৃত ভাবে মৃতের সংখ্যা কম আফগানিস্তানে। কাবুল প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, আজ রাত পর্যন্ত সে দেশে ৭৬ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। আহত দেড় হাজারেরও বেশি। নিখোঁজ বহু।
পাক সংবাদ সংস্থাগুলি জানাচ্ছে, পুলিশ এবং সেনার একাংশ জানাচ্ছে, একে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় পৌঁছনো যাচ্ছে না, তার উপর বাদ সেধেছে লাগাতার বৃষ্টি। কুনার প্রদেশের পুলিশ প্রধান আব্দুল হাবিব সৈয়দ খিলের কথায়, ‘‘আমাদের কাছে যে খাবার বা ত্রাণের জিনিস রয়েছে তা যথেষ্ট নয়। এই কুনারেই ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত বহু। তার উপর চার দিন ধরে টানা বৃষ্টি। ভয়ঙ্কর ঠান্ডা। সময়মতো উদ্ধারকাজ না চললে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে।’’
গত কাল দুপুর ২টো ৪০ মিনিট নাগাদ কেঁপে ওঠে আফগানিস্তান, পাকিস্তান আর উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। কম্পনের উৎসস্থল ছিল কাবুলের  ১৬০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বের জুর্ম এলাকা। রিখটার স্কেলে কম্পন মাত্রা ছিল ৭.৫। কম্পন অনুভূত হয় ভারতের জম্মু-কাশ্মীর, দিল্লি, রাজস্থান, পঞ্জাব, হরিয়ানাতেও। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর। গত কালই ভারতে তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। আজ আরও এক আহতের মৃত্যু হয়েছে কাশ্মীরে।  একটি বিবৃতিতে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন জানিয়েছে, ভূকম্পের জেরে ৫৩টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ২০ জন আহত হয়েছেন।
ভাইকে নিয়ে পথেই আশ্রয় নিয়েছে খুদে। মঙ্গলবার পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের একটি গ্রামে।
ভূমিকম্পে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পাকিস্তানের তালিবান অধ্যুষিত খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফাটা-র (ফেডেরালি অ্যাডমিনিস্ট্রেটেড ট্রাইবাল এরিয়া) নিয়ন্ত্রণাধীন পঞ্জাব প্রদেশের পাঁচটি জনপদ এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি এলাকা। পাশাপাশি,  চিত্রাল, সোয়াট, সাঙ্গলা, দির, বুনেরের মতো জেলার বহু এলাকা এখন ধ্বংসস্তূপের তলায়। জোরালো কম্পন অনুভূত হয় ইসলামাবাদ, করাচি, রাওয়ালপিন্ডি, লাহৌর, পেশাওয়ার, কোয়েটা, কোহাট, মালাকান্দেও। আজ বহু চেষ্টার পরে তালিবান অধ্যুষিত খাইবার পাখতুনখোয়ায় পৌঁছেছে পাক সেনা।
পাক বিপর্যয় মোকাবিলা পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি বলছে, ‘‘আজ সকাল পর্যন্ত শুধু খাইবার পাখতুনখোয়া থেকেই ১৮৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।’’ এলাকাভিত্তিক বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘সাতটি দল তৈরি করে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে উদ্ধার কাজ চালানো হচ্ছে। প্রচুর কম্বল, খাবার, জল,
তাঁবু পাঠানো হয়েছে চিত্রাল
প্রদেশে।’’ বিপর্যস্ত এলাকাগুলিতে চিকিৎসক-দলও পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে হিন্দুকুশ পর্বতের মাঝখানে অবস্থিত জুর্ম এলাকায় মাটি থেকে  ২১৩.৫ কিলোমিটার গভীরে কম্পনের জেরে ধস নেমেছে একটা বিশাল অংশে। ধসে পড়েছে প্রচুর বহুতল। বহু গ্রাম কার্যত চাপা পড়ে গিয়েছে কাদা-মাটির তলায়। বিপর্যস্ত প্রতিটি এলাকায় পৌঁছনো গেলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছে দু’দেশের প্রশাসন। পাশাপাশি, তালিবান এবং অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের কব্জা করা এলাকায় কী করে সুষ্ঠু ভাবে ত্রাণকার্য চলবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দু’দেশের প্রশাসনের অন্দরমহলেই।
যদিও দেশের মানুষকে এই বিপদের সময় সব রকম ভাবে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তালিবান। ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিবানের বিবৃতি বলছে, ‘‘দুর্গতদের সাহায্যকারী সংস্থা, ত্রাণকর্মী এবং উদ্ধারকারী দলগুলো কাজ চালিয়ে যাক। আমাদের মুজাহিদিনদের (জঙ্গি সংগঠনের সদস্য) নির্দেশ, তাঁরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষদের পাশে দাঁড়ান এবং সব রকম ভাবে সাহায্য করেন।’’

দক্ষিণ চিন সাগরের দিকে মার্কিন রণতরী, পাল্টা হুঁশিয়ারি দিল চিন



দক্ষিণ চিন সাগরের অধিকার নিয়ে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠল চিন-আমেরিকা সম্পর্ক।
পৃথিবীর অন্যতম ব্যস্ত সমুদ্র অঞ্চল দক্ষিণ চিন সাগরের বেশির ভাগ অংশ বহুদিন ধরেই নিজেদের বলে দাবি করে চিন। সেখানে কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জও তৈরি ফেলেছে তারা। এবার চিনের সেই একাধিপত্যে ভাগ বসাতে চায় আমেরিকা। জলভূমি দখলে বেজিংয়ের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতের প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে তারা। মার্কিনি নৌবাহিনীর রণতরী রওনা দিয়েছে সুবি এবং মিসচিফ রিফের দিকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন নৌসেনা অফিসার জানিয়েছেন ‘অপরেশন শুরু হয়ে গেছে...’ মার্কিন রণতরীগুলোর সঙ্গে থাকছে নজরদারি বিমানও।
অন্যদিকে আমেরিকার এই চ্যালেঞ্জে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চিন। জানিয়েছে নিজেদের অঞ্চলে অন্য কারও খবরদারি তারা বরদাস্ত করবে না। আমেরিকায় চিনের রাষ্ট্রদূত বলেছেন ‘‘পেশি শক্তি দেখিয়ে এভাবে অন্যের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের আগে ১০ বার ভাবা উচিত আমেরিকার, কোনও রকম প্ররোচনামূলক কার্যকলাপের ফলে যদি আঞ্চলিক শান্তি নষ্ট হয়, তার দায় আমেরিকার উপরেই বর্তাবে।’’
চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই জানিয়েছেন ১২ মাইল পরিধির মধ্যে ইতিমধ্যেই কোনও মার্কিন রণতরী প্রবেশ করেছে কিনা সে বিষয়ে তারা বিস্তারিত খোঁজ খবর নিচ্ছেন।

Monday, October 26, 2015

জীবনের সেরা মুহূর্ত, ইউএস গ্রাঁ পি জিতে বললেন হ্যামিলটন

কী ভাবে সুখের কান্নাকে আটকাবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। চোখের কোণে তখনও চিক চিক করছে জল। কোনও মতে সামলে নিয়ে হাঁফাতে হাঁফাতে শুধু এই টুকুই তাঁর মুখ থেকে বেরিয়ে এল, “এটাই আমার জীবনের সেরা মুহূর্ত।”
সেরা মুহূর্ত তো বটেই। রবিবার ইউএস গ্রাঁ পি-তে নাটকীয় জয়ের পর  সেই সেরা মুহূর্তই ধরা পড়ল লুই হ্যামিলটনের চোখে-মুখে। এই নিয়ে তৃতীয় বার ফর্মুলা ওয়ান খেতাব জিতলেন তিনি। প্রথম ব্রিটিশ ফর্মুলা ওয়ান ড্রাইভার হিসাবে পর পর তিন বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নজির গড়লেন হ্যামিলটন।
ব্রাজিলের ফর্মুলা ওয়ান চ্যাম্পিয়ন আয়ার্টন সেনা-কে আদর্শ করে ফর্মুলা ওয়ান-এর ময়দানে আত্মপ্রকাশ হ্যামিলটনের। তখন থেকেই তিনি স্বপ্ন দেখতেন আয়ার্টনের রেকর্ড ভাঙার। ফর্মুলা ওয়ানের সার্কিটে নেমে অনেক হার-জিতের সামনাসামনি হয়েছেন তিনি। তবে এ দিনের জয় তাঁর কাছে সবচেয়ে দামি সে কথা বলতে ভোলেননি তিনি। কারণ তিনি তাঁর স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছেন। রেকর্ড ছুঁয়েছেন তাঁর আদর্শ আয়ার্টনের।
পোডিয়ামে যখন তিনি উঠলেন হাততালির ঝড় বয়ে গেল। ভক্তদের ভালবাসা আর টিমমেটদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা যে তাঁকে এই সাফল্য এনে দিয়েছে সে কথা বলতেও ভোলেননি এই ত্রিশবর্ষীয় ব্রিটিশ এফ ওয়ান চালক। পাশাপাশি, তিনি এটাও স্বীকার করেন যে এই রেসটা তাঁর কাছে খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। কারণ সেবাস্টিয়ান ভেটেল আর রোজবার্গের মতো চ্যাম্পিয়নরা তাঁর ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলছিলেন। ভেটেলের থেকে মাত্র ৯ পয়েন্ট এবং রোজবার্গের থেকে ২ পয়েন্ট দূরে ছিলেন হ্যামিলটন।
ফিনিশিং লাইনে পৌঁছেও যেন বিশ্বাস হচ্ছিল না তাঁর যে তিনি একটা মাইলস্টোন গড়ে ফলেছেন। সম্বিত্ ফেরে যখন তাঁর টিমমেটরা দৌড়ে এসে তাঁকে অভিনন্দন জানায়। আবেগতাড়িত হয়ে হ্যামিলটন বলেন, “আই অ্যাম ফিলিং ইট নাও, গাইস, আই অ্যাম ফিলিং ইট”।
দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেন জার্মানির নিকো রোজবার্গ এবং তৃতীয় সেবাস্টিয়ান ভেটেল। তাঁরাও হ্যামিলটনকে অভিনন্দন জানান। 

বিশ্বকাপে রুপো জিতলেন দীপিকা



তিরন্দাজি বিশ্বকাপ ফাইনালসে পাঁচ বছরে নিজের চার নম্বর রুপো জিতলেন দীপিকা কুমারী। বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর তিরন্দাজের এই জয় মরসুম শেষের বিশ্বকাপ ফাইনালস-এ ভারতকে দ্বিতীয় রুপো দিল। দীপিকা ফাইনালে সোনার চ্যালেঞ্জ হারলেন দক্ষিণ কোরিয়ার চোই মিসুনের কাছে। পুরো এক বছর পর বিশ্বকাপের মঞ্চে ফিরেছেন দীপিকা। ষষ্ঠ বাছাই ভারতীয় মেয়ে কোয়ার্টার ও সেমিফাইনালে সহজে জেতেন। তবে বিশ্বের এক নম্বর এবং শীর্ষ বাছাইয়ের কাছে ফাইনালে ২-৬ ব্যর্থ হলেন। শনিবার কম্পাউন্ডে অভিষেক বর্মার ঐতিহাসিক রুপোর পর দেশকে দ্বিতীয় রুপো এনে দিলেও নিজের পারফরম্যান্সে খুশি নন দীপিকা। তিনি বলেছেন, ‘‘সোনা জেতার প্রচুর চেষ্টা করেছি। লক্ষ্য স্থির করে নেমেছিলাম। কিন্তু কাজে এল না।’’

সিরিজ শ্রীলঙ্কার

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দু’টেস্টের সিরিজে ২-০ হারাল শ্রীলঙ্কা। প্রথম টেস্ট ইনিংসে জেতার পর এ দিন দ্বিতীয় টেস্ট ৭২ রানে জিতল তারা। তিন দিন সময় পেয়েছিল জেসন হোল্ডারের ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৪৪ তুলে জেতার জন্য। কিন্তু এ দিন চা-বিরতির একটু পরে ১৭১ অল আউট হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

মোবাইল কানে পথ চলতে বিশেষ লেন!



মোবাইল কানে দিয়ে পথ হাঁটলে বিপদের সম্ভাবনা যে কতটা, সে কথা আর কে না জানে! বিপদ আছে, মোবাইল ফোনের পর্দায় চোখ রেখে পথ হাঁটাতেও! তবে, তার বাইরেও আছে অন্য এক ঝামেলা! মোবাইলে মগ্ন পথচারী আপনাকে খেয়াল করবেন না! তার জেরে ব্যস্তসমস্ত পথে যদি ধাক্কা খেতে হয়? এই সব সমস্যার কথা ভেবেই তাইল্যান্ডে তৈরি হল শুধুমাত্র মোবাইল ব্যবহার করতে করতে হেঁটে যাওয়ার জন্য এক বিশেষ সরণি। ব্যাঙ্ককের ক্যাসেসার্ট ইউনিভার্সিটি সংলগ্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার আমজনতার জন্য খুলে দেওয়া হল এই মোবাইল ফোন লেন।
মোবাইল-মত্ত মানুষদের কথা ভেবে তৈরি এই সরণির পরিকল্পনাও বেশ সুষ্ঠু! ৫০০ মিটার চওড়া এক ফুটপাথ, তার এক দিক বরাদ্দ শুধুমাত্র মোবাইল ব্যবহার করতে করতে পথ চলার জন্য। তাঁদের সংসর্গ বাঁচিয়ে অন্য লেন দিয়ে নিশ্চিন্তে যাতায়াত করতে পারবেন সাধারণ পথচারীরা। সমস্যা বলতে কেবল একটাই— আপাতত এই মোবাইল ফোন লেন ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার অধীনে থাকবে। যদি দেখা যায়, কোনও রকম দুর্ঘটনা ঘটছে না এবং সাধারণ পথচারীদের উপকার হচ্ছে, তবেই এই সরণি পাকাপাকি ভাবে খুলে দেওয়া হবে ব্যবহারের জন্য।
অবশ্য, এ রকম বিশেষ মোবাইল সরণি বিশ্বে নতুন কিছু নয়। এর আগে চিনের চংকিং শহরে এমন এক মোবাইল ফোন লেন খোলার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। তারও আগে ওয়াশিংটন ডিসিতে তৈরি হয়েছিল এ রকম মোবাইল ফোন সরণি। তাইল্যান্ডের তবে এত দেরি হল কেন?
আসলে অনেক দিন ধরেই তাইল্যান্ডের ক্যাসেসার্ট ইউনিভার্সিটির পড়ুয়ারা এক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিল। সকাল বেলায় অফিস যাওয়ার ভিড়ে যখন ওই রাস্তা ভর্তি থাকে, তখন পড়ুয়ারা তাড়াতাড়ি ওই ভিড় কাটিয়ে ক্লাসে যেতে পারে না। মোবাইল ফোন ব্যবহারীকারীদের পাশ কাটানো, তাদের সঙ্গে ধাক্কা লেগে যাওয়া, তার থেকে দু’-এক প্রস্ত কথা কাটাকাটি— এ সব লেগেই থাকত ওখানে। ফলে, তাদের নেমে আসতে হয় রাস্তায়। যানবাহনের মাঝখান দিয়ে হাঁটতে গিয়ে দুর্ঘটনাও ঘটে! এ সব সমস্যার সমাধানের জন্যই মাথা খাটিয়ে এই বিশেষ মোবাইল ফোন লেন তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি রাখা হয়েছে চার রকম সতর্কীকরণ চিহ্ন এবং তিনটি ম্যাসকট যা ট্র্যাফিকের ভিড়ে পড়ুয়া এবং মোবাইল ব্যবহারকারীদের দরকার মতো চোখ-কান খোলা রাখতে সাহায্য করবে।

১৩ বছর পরে জল থেকে মাথা তুলল মেক্সিকোর প্রাচীন গির্জা



সেই ১৯৬৬ সালে জলের অতলে মুখ লুকিয়েছিল সে। মাঝে এক বার মাথা তুলেছিল ২০০২ সালে। সেই শেষ! তার পর এত দিন বাদে, পাক্কা ১৩ বছর পরে জল থেকে মাথা তুলে দেখা দিল মেক্সিকোর ষোড়শ শতকের অ্যাপোস্টল সান্তিয়াগো গির্জা। খরায় জলস্তর কমে যাওয়াতেই গির্জাটির এ হেন নাটকীয় আত্মপ্রকাশ।
প্রায় ৪৫০ বছরের পুরনো এই গির্জাটি স্থাপিত হয়েছিল ডমিনিকান সন্তদের হাতে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য এর উপর নেমে আসে জরাজীর্ণতার ছাপ। তার পর ১৯৬৬ সালে গ্রিজালভা নদিতে বাঁধ দেওয়ার সময়েই ঘটে দুর্যোগ। ছাপিয়ে যাওয়া জলের তলায় চিরতরে মুখ লুকোয় অ্যাপোস্টল সান্তিয়াগো গির্জা।
২০০২ সালে প্রায় ৬০ মিটার মতো দেখা গেলেও এ বারে অবশ্য জলের ভিতর থেকে গির্জাটি মাত্র ১৫ মিটার মাথা তুলেছে। যদিও এত দিন ধরে জলের তলায় থাকতে থাকতে গির্জাটির ছাদ ভেঙে গিয়েছে। এখন সেই ভাঙাচোরা গির্জার থামের উপর এসে বসছে পাখি। কাছে গেলে দেখা যাচ্ছে, গির্জার দেওয়ালে জমেছে পুরু শ্যাওলা। সে ভাবে জনপ্রিয় দ্রষ্টব্য না হলেও মেক্সিকোয় এখন এই গির্জা-ভ্রমণ শুরু হয়েছে। বলা তো যায় না, আবার কবে জলের তলায় মুখ লুকায় সে!
আর, সে আশঙ্কা অমূলকও নয়! ইতিমধ্যেই ভারী বর্ষণে বাড়তে শুরু করেছে নদির জলস্তর। দিন কয়েকের মধ্যেই শতাব্দী প্রাচীন এই স্থাপত্য হয়ত ফের চলে যাবে জলের তলায়!

মেক্সিকোর বুকে তাণ্ডব হারিকেন প্যাট্রিসিয়ার

প্যাট্রিসিয়া। মেক্সিকোবাসীর কাছে আতঙ্কের জন্য এখন এই একটা নামই যথেষ্ট।
গত কাল সন্ধেতেই পশ্চিম মেক্সিকোয় আছড়ে পড়েছিল হারিকেন ঝড়— প্যাট্রিসিয়া। ঘণ্টায় দু’শো কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি। তবে শনিবার সকালের দিক থেকেই শক্তি হারাতে শুরু করেছে প্যাট্রিসিয়া। যতই তা স্থলভূমির দিকে এগোচ্ছে, ততই দুর্বল হচ্ছে। তবে তার আগেই সে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি করে দিয়েছে বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে। বিধ্বংসী ঝড়ে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। আবহবিদরা জানাচ্ছেন, প্যাট্রিসিয়াই আমেরিকার সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়।
প্রথম দিকে প্যাট্রিসিয়ার গতিবিধি আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছিল। মাঝ সমুদ্রে থাকাকালীন হাওয়ার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ৩২৫ কিলোমিটার। তবে স্থলভূমিতে ঢোকার পর থেকে ধীরে ধীরে শক্তি হারিয়েছে সে। গত কাল সন্ধেয় যখন প্যাট্রিসিয়া স্থলভূমিতে আছড়ে পড়ে, তখন তার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় দুশো কিলোমিটার। আর আজ সকালের দিকে এর গতি অনেকটাই কমে গিয়েছে। প্যাট্রিসিয়ার এই অদ্ভুত আচরণে বিস্মিত আবহবিদরা।
কেন প্যাট্রিসিয়ার এমন অদ্ভুত আচার-আচরণ?
এর জন্য এল নিনোকেই দায়ী করছেন আবহবিদরা। তাঁদের দাবি, এল নিনোর জেরে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বাড়ছে। এর ফলেই প্যাট্রিসিয়ার গতিবিধির এমন পরিবর্তন। অনেকেই আবার এর জন্য বিশ্ব উষ্ণায়নকেই দায়ী করছেন।
ঝড়ের পূর্বাভাসের পর পরই মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলবর্তী এলাকা থেকে মানুষজনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া শুরু হয়েছিল। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বন্দর, হোটেল, স্কুলও। বিধ্বংসী হারিকেন  শক্তি হারিয়ে আশার আলো দেখালেও ঝড়ের জেরে অন্য আশঙ্কার মেঘ দেখছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা। ঝড়ের সঙ্গে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে উপকূলের অধিকাংশ এলাকা এখন জলের তলায়। উপড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটিও। কিছু কিছু জায়গায় আবার প্রবল বৃষ্টির জেরে হড়পা বান এবং ধসের আশঙ্কাও আছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি দেখেছে পুয়ের্তো ভাল্লার্তা শহরটি। এর পাশাপাশি, উপকূলের কাছাকাছি বেশ কিছু শহরেও প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বহু মানুষ বাড়ি-ঘর হারিয়েছেন।
সদ্য প্যাট্রিসিয়ার ঝাপটা খাওয়া বন্দর শহর মানজানিলোর একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছিল। তাতে দেখা যাচ্ছে, ঝড়ের কোপে নুইয়ে পড়েছে গাছগুলি। এই শহরেরই এক বাসিন্দা জানিয়েছেন,হারিকেনের রোষে সাজানো সুন্দর শহরটি তছনছ হয়ে গিয়েছে। তবে শহরের বাসিন্দারা সকলেই বিপন্মুক্ত।

ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, বার্তা ওবামার

দু’দিন আগেই হোয়াইট হাউসে পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছিলেন, ভারত-পাক সমস্যা সমাধানে মধ্যস্থতার পথে যাবে না আমেরিকা। কাশ্মীর সমস্যা নিজেদেরই মিটিয়ে ফেলতে হবে তাদের।
পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়িয়ে শুক্রবার ফের বিবৃতি প্রকাশ করল হোয়াইট হাউস। মুখপাত্র এরিক শুল্জ বলেন, ‘‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সম্পর্ককে বিশেষ গুরুত্ব দেন প্রেসিডেন্ট ওবামা।’’ আর্থিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে দৃঢ় বন্ধনের কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘ভারত-মার্কিন অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে ওবামা বিশেষ চেষ্টা করেছেন।’’ এরিক জানিয়েছেন, ওবামারই নির্দেশে হোয়াইট হাউস তথা গোটা প্রশাসন দু’দেশের সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং সম্পর্কের পরিধি বিস্তারের সুযোগ খুঁজতে বিশেষ ভাবে তৎপর হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। বৈঠকে ওবামাকে শরিফ আশ্বাস দেন, লস্কর-ই-তইবা, হক্কানি-সহ রাষ্ট্রপুঞ্জ চিহ্নিত বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীকে পাকিস্তানের মাটি থেকে কার্যকলাপ চালাতে দেওয়া হবে না। পাক-আফগান সীমান্তের দু’দিকেই এই হক্কানি গোষ্ঠী যথেষ্ট সক্রিয়। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গেও তাদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে বলে দীর্ঘদিন ধরে দাবি করছেন মার্কিন গোয়েন্দারা। পাকিস্তানের মাটি থেকে বহু বার সন্ত্রাসের প্রমাণও মিলেছে। ইসলামাবাদের অদূরেই অ্যাবটাবাদে ঘাঁটি গেড়ে ছিলেন ওসামা বিন লাদেন। এখন আন্তর্জাতিক চাপের মুখেই হক্কানি ও লস্কর নিয়ে মুখ খুলল পাকিস্তান, মনে করছেন কূটনীতিকরা।
তবে চেনা পথে হেঁটে সেই বৈঠকেও কাশ্মীর প্রসঙ্গ খঁুচিয়ে তুলেছিলেন শরিফ। তিনি দাবি করেন, কাশ্মীর নিয়ে ভারতের অনমনীয় মনোভাবের ফলেই দু’দেশের সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে। দু’দেশের কথাবার্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পাক প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘কাশ্মীর সমস্যার দ্রুত সমাধান হওয়া প্রয়োজন। এবং সেটা হতে পারে কোনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতায়।’’ আমেরিকাই এই কাজের জন্য আদর্শ, মন্তব্য করেন শরিফ। কিন্তু বৈঠকের পরেই ভারতকে স্বস্তি দিয়ে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র এরিক শুল্জ বলেন, ‘‘শুধু ভারত-পাকিস্তানেই নয়, গোটা এলাকায় শান্তি পরিস্থিতি বজায় রাখতে দীর্ঘমেয়াদি আলোচনা দরকার। কাশ্মীর-সহ বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয়ের তাড়াতাড়ি মীমাংসা হওয়া প্রয়োজন। এবং তা তাদের নিজেদেরই করতে হবে।’’
আমেরিকাকে এ ভাবে পাশে পেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই লুফে নিয়েছে দিল্লি। কালই পাকিস্তানের সমালোচনা করে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ বলেন, ‘‘জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা স্তরে বৈঠক করতে আমরা সব সময়েই রাজি। ভারত আলোচনার টেবিল থেকে সরে এসেছে, পাকিস্তানের এই দাবি কখনওই মেনে নেওয়া যায় না।’’
এ বছর জুলাই মাসে রাশিয়ার উফায় পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর। সেই বৈঠকেই স্থির হয়, শীঘ্রই দু’দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা বৈঠকে বসবেন। ২৪ অগস্ট বৈঠকের দিনও ঠিক হয়। কিন্তু সেই বৈঠকের কয়েক দিন আগেই হুরিয়ত নেতাদের চা-চক্রে ডাকেন নয়াদিল্লিতে পাক হাইকমিশনার আব্দুল বাসিত। পাকিস্তানের এই দু’মুখো নীতিতে বিরক্ত নয়াদিল্লি তখনই সরতাজ আজিজ ও অজিত ডোভালের সেই বৈঠক বাতিল করে দিয়েছিল।
ভারতের স্বস্তি আরও বাড়িয়ে শুল্জ জানান, আমেরিকার সঙ্গে পাকিস্তানের কোনও অসামরিক পরমাণু চুক্তি হচ্ছে না। শুল্‌জের কথায়, ‘‘আমেরিকা নীতিগত ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, পাকিস্তানের সঙ্গে এখন পরমাণু চুক্তি হবে না।’’
আর আজ ওবামা-মোদী ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে মার্কিন প্রশাসন শরিফকে আরও চাপে ফেলে দিল বলেই ধারণা কূটনীতিকদের।

দুই প্লেটের বিচ্ছেদেই কি এই বিপর্যয়

কারণ নিয়ে মতভেদ থাকলেও পরিণতি সম্পর্কে মতের বিশেষ ফারাক নেই। সোমবারের ভূকম্পের বিধ্বংসী শক্তির আঁচ ভূ-বিজ্ঞানীরা মোটামুটি সকলেই পেয়ে গিয়েছেন।
গত এপ্রিল মে-তে নেপালে হয়ে যাওয়া দু’টি ভূমিকম্পের কারণ নিয়ে ভূ-বিজ্ঞানীদের মধ্যে কোনও দ্বিমত ছিল না। সকলে মেনে নিয়েছেলেন, ইন্ডিয়ান প্লেট আর ইউরেশিয়ান প্লেট একটি অন্যের নীচে ঢুকে যাওয়াতেই ওই বিপত্তি। কিন্তু এ দিন আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ পর্বতে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পের কারণ কী, তা নিয়ে একাধিক তত্ত্ব ঘুরে বেড়াচ্ছে বিজ্ঞানী মহলে। যদিও ওঁরা সকলে এক বাক্যে জানাচ্ছেন, রিখটার স্কেলে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্পটিতে নির্গত হয়েছে প্রায় ৫০টি পরমাণু বোমার (হিরোশিমায় যেমন ফাটানো হয়েছিল) সমান শক্তি। যা কি না কম্পনের কেন্দ্রস্থলের আশপাশে তামাম এলাকাকে একেবারে দুমড়ে-মুচড়ে দিয়েছে!
আইআইটি খড়্গপুরের ভূ-পদার্থবিদ্যার গবেষকেরা বলছেন, এ দিনের ভূমিকম্প দু’টি বিচ্ছিন্ন ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়ার যোগফল। বিভাগীয় প্রধান শঙ্করকুমার নাথের ব্যাখ্যা: নেপালে গত ২৫ এপ্রিলের সেই ৮.১ রিখটার মাত্রার ভূমিকম্পের সময়ে ইউরেশীয় প্লেট ও ইন্ডিয়ান প্লেট একে অন্যের নীচে তীব্র গতিতে ঢুকে গিয়েছিল। এ বার তা হয়নি। উল্টে দু’টি প্লেট পরস্পরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। শঙ্করবাবুদের বক্তব্য: ইন্ডিয়ান প্লেটটি যে গতিতে ইউরেশিয়ান প্লেটের দিকে এগোচ্ছিল, একই গতিতে এ বার তা ঢুকে গিয়েছে হিন্দুকুশের নীচে। একই ভাবে ইউরেশিয়ান প্লেট ঢুকে গিয়েছে পামীর মালভূমির নীচে। দু’য়ের সম্মিলিত প্রতিক্রিয়ায় এই ভূকম্প।
দু’টি প্রক্রিয়া কি এক সঙ্গে হয়েছে?
শঙ্করবাবুরা সে ব্যাপারে এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত নন। তবে ওঁদের পর্যবেক্ষণ, এ দিন কম্পনের উৎসস্থলে যে পরিমাণ শক্তি নির্গত হয়েছে, দু’টি প্রক্রিয়া এক সঙ্গে না-ঘটলে তা হওয়া দস্তুরমতো কঠিন। ‘‘ওই তল্লাটের ছবি দেখলে মনে হবে, যেন মাটির নীচে প্রবল ঘুর্ণিঝড় বয়ে গিয়েছে।’’— মন্তব্য শঙ্করবাবুর।
শঙ্করবাবুর দাবি, এ দিন ওই দু’টি ভিন্ন প্রক্রিয়ার জেরে মাটির দু’শো কিলোমিটার নীচে গোটা ভূস্তর উথালপাথাল হয়ে গিয়েছে। নেপালের ভূমিকম্পের তুলনায় তীব্রতা কম হলেও এটি মাটির অনেকটা গভীরে ঘটায় গোটা অঞ্চলের এমন অবস্থা, যেন আখমাড়াই কলে আখ পেষা হয়েছে। কম্পন অনুভূত হয়েছে বিরাট এলাকা জুড়ে। আফগানিস্তান থেকে দিল্লি কেঁপে উঠেছে। ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও বেশি থাকছে।
দেখা গিয়েছে, এ দিনের কাঁপুনিতে আফগানিস্তান-পাকিস্তানে ঘর-বাড়ি, সেতু ভেঙে পড়েছে তাসের ঘরের মতো। এই বিধ্বংসী প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণ প্রসঙ্গে মার্কিন ভূ-বিজ্ঞান পর্ষদ (ইউএসজিএস)-এর বিবৃতিতেও শঙ্করবাবুদের তত্ত্বের সমর্থন মিলেছে। যদিও ইউএসজিএস নিশ্চিত নয়, দু’টি প্রক্রিয়া এক সঙ্গে ঘটেছে, নাকি যে কোনও একটির কারণেই মাটি কেঁপে উঠেছে। ইউএসজিএসের বক্তব্য: এ দিনের কম্পনের কারণ সম্পর্কে দু’টি তত্ত্ব সামনে এসেছে। একটি বলছে, দু’টি প্রক্রিয়াই (হিন্দুকুশের নীচে ইন্ডিয়ান প্লেটের প্রবেশ ও পামীর মালভূমির নীচে ইউরেশিয়ান প্লেটের আগ্রাসন) এক সঙ্গে হয়েছে। অন্যটি বলছে, দু’টি প্রক্রিয়ার একটিই ভূকম্প ঘটানোর জন্য যথেষ্ট ছিল।
এর বাইরে অন্য তত্ত্বও শোনা যাচ্ছে। ভূ-বিজ্ঞানীদের অনেকের মতে, নেপাল হিমালয়ে যেমন হয়েছিল, তেমন আফগান হিন্দুকুশেও দুই প্লেটের মধ্যে তীব্র গতির ঘষাঘষির ফলে ভূমিকম্পের উৎপত্তি। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-বিদ্যার প্রাক্তন প্রধান হরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের কথায়, ‘‘নেপালে যা ঘটেছিল, আফগানিস্তানে তা-ই হয়েছে। ইউরেশিয়ান প্লেট ও ইন্ডিয়ান প্লেট একে অন্যের তলায় ঢুকে গিয়েছে।’’ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ববিদ সুগত হাজরার বক্তব্য: হিন্দুকুশ পর্বত তৈরিই হয়েছিল ইউরেশীয় প্লেটের নীচে ইন্ডিয়ান প্লেট ঢুকে গিয়ে। তাই ওখানে ইন্ডিয়ান প্লেটের উত্তরমুখী গতি (বছরে ৫০ মিলিমিটার) আটকে গিয়েছে। পরিণামে দুই প্লেটের জোড়ে প্রচুর পরিমাণ শক্তি জমা হচ্ছে। যা আচমকা কোনও চ্যুতি (ফল্ট) বরাবর বেরিয়েও আসছে। এ দিনও তা-ই হয়েছে বলে সুগতবাবুর দাবি। ভূ-বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই অঞ্চলটি বিশ্বের অন্যতম ভূকম্পপ্রবণ। বস্তুত হিন্দুকুশ পর্বতমালার এই অংশটি এত বেশি অস্থির যে, এখানে সব সময়েই ২-৩ রিখটার মাত্রার ভূমিকম্প হয়েই চলেছে। ৭.৫-৭.৮ মাত্রার ভূকম্পও অপ্রত্যাশিত নয়। এ প্রসঙ্গে হিন্দুকুশের কালান্তক ‘সারিজ’ ভূমিকম্পের কথা মনে করিয়ে শঙ্করবাবু জানিয়েছেন, ১৯১১-র ১৮ জুলাই ৭.৪ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে পামীর মালভূমির মাঝের অংশটা লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল। একটি নদীর গতিপথ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। পাহাড়ে ধস নেমে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় বহু জনপদ।
এ বারও ভূমিকম্পের পরে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের পাহাড়ে ধস নেমেছে। তাতে ক্ষয়ক্ষতি কতটা হয়েছে, সে হিসেব এখনও মেলেনি। পামীর মালভূমি ও সংলগ্ন অঞ্চলে বিপর্যয়ের বহর পরিষ্কার হলে ভূস্তরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণেরও একটা আন্দাজ পাওয়া যাবে, মত ভূ-বিজ্ঞানীদের।

ভূমিকম্পে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে মৃত ৭০, কাঁপল উত্তর ভারতও

বড়সড় ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল সমগ্র উত্তর ভারত। সোমবার দুপুর পৌনে তিনটে নাগাদ মৃদু ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দিল্লিও। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৭। এর জেরে কেঁপে ওঠে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এ দিন কম্পনেরর উত্সস্থল ছিল আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৯৬ কিলোমিটার গভীরে। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত হয়েছেন শতাধিক।
কম্পনের পর এ দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করেন, “আফগানিস্তান-পাকিস্তানে বড়সড় ভূমিকম্পের কথা শুনেছি। ভারতেও এর প্রভাব পড়েছে। প্রার্থনা করি সকলেই সুরক্ষিত আছেন। কোথায় কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান-সহ যেখানে যেখানে সাহায্যের প্রয়োজন তার জন্যও প্রস্তুত আমরা। ”  
এ দিন দিল্লিতে কম্পন অনুভূত হতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘর-বাড়ি, অফিস ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন লোকজন। সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় মেট্রো পরিষেবা। বেশ কয়েকটি উড়ালপুলে ফাটলও ধরেছে বলে জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল দিল্লিবাসীদের উদ্দেশে টুইট করেন, “আতঙ্কিত হবেন না। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে।”
শ্রীনগরেও ব্যাপক কম্পন অনুভূত হয়েছে। এর জেরে সেখানে টেলিফোন পরিষেবাও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। জাহাঙ্গির চকের একটি উড়ালপুলে ফাটল ধরে। যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সেখানে এক বাসিন্দার কথায়, “বাড়িগুলো এমন ভাবে দুলছিল যে ২০০৫-এর ভয়াবহ কম্পনের স্মৃতি ফিরে এসেছিল মনের মধ্যে।” ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, হিন্দুকুশ পার্বত্য অঞ্চল অতি ভূমিকম্পপ্রবণ বলে চিহ্নিত।
পাকিস্তানে প্রায় ৪০ সেকেন্ড মতো কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের জেরে সেখানে ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত হয়েছেন শতাধিক। অন্য দিকে, আফগানিস্তানেও মৃত্যু হয় প্রায় ১৭ জনের।
নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পরই ভূবিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছিলেন মাঝে মাঝেই ছোটখাটো কম্পন হতে পারে। আফটারশকেরও সতর্কতা জারি করেছিলেন তাঁরা। তা হলে তাদের সেই সতর্কতাকে সত্যি করে আরও বড় ধরনের ভূমিকম্পের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে?