ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে ওয়েম্বলিতেও হাজির গত শুক্রবারের রক্তাক্ত ফ্রান্সের স্মৃতি। ঘটনার ছিয়ানব্বই ঘণ্টা পরেও যার জেরে ইংরেজেরা তাঁদের ‘গড সেভ দ্য কুইন’ শেষ করে ফ্রান্সের জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গেও গলা মেলালেন। অঙ্গীকার থাকল সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্রতিবাদ জারি রাখার।
যা দেখে অভিভূত ফরাসি অধিনায়ক হুগো লরিস। প্রীতি ম্যাচে রুনি আর দেলে আলির গোলে ০-২ হারলেও ফরাসি অধিনায়কের মন্তব্য, ‘‘ফুটবল মাঠে ফলাফলটাই শেষ কথা নয়। ইংল্যান্ডের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ। গত তিন দিনে যখন গোটা টিম মাঠে নামার শক্তিটাই হারিয়ে ফেলতে বসেছিল তখন ওয়েম্বলিতে ইংরেজদের সমর্থন ফের জীবনযুদ্ধে, মাঠে ফেরার তাগিদ বাড়িয়ে দিচ্ছে।’’ আবেগরুদ্ধ দিদিয়ের দেশঁর দলের তারকা মাতুইদি-ও। তাঁর কথায়, ‘‘প্রিন্স উইলিয়াম যখন দুই কোচের মাঝে দাঁড়িয়ে প্যারিসে প্রয়াতদের স্মৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাচ্ছিলেন তখন আমাদের মুখে ভাষা ছিল না।’’
ম্যাচে অন্যতম স্মরণীয় মুহূর্ত দ্বিতীয়ার্ধে লাসানা দিয়ারা এবং আন্তোনি গ্রিজম্যান পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামার সময়টা। গোটা ওয়েম্বলি উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে উদ্বুদ্ধ করে দুই ফরাসি ফুটবলারকে। প্রথম জন শুক্রবারের ঘটনায় হারিয়েছেন তাঁর তুতো বোনকে। দ্বিতীয় জনের বোন স্বয়ং হাজির ছিলেন বাতাক্লঁ কনসার্ট হলে। জঙ্গিরা গুলি চালানোর সময় কোনওক্রমে পালিয়ে বাঁচেন।