ফেডারেশনের উপর বিরক্ত হয়ে আই লিগের তিনটি ক্লাব ঝাপ বন্ধ করে দিয়েছে। তুলে নিয়েছে দল। পাশাপাশি ক্লাবেদের আর্থিক সমস্যার কথা ভেবে তুলে দেওয়া হল মার্কি ফুটবলার খেলানোর নিয়ম।
পুণে-র দুটি টিম এবং রয়্যাল ওয়াহিংডো দল তুলে নেওয়ায় এগারো থেকে কমে আই লিগ হয়ে গিয়েছে নয় দলের। এই অবস্থায় প্রতিটি দল হোম-অ্যাওয়ে মিলিয়ে মোট ষোলোটি করে ম্যাচ খেলবে। এ এফ সি কাপের নিয়ম হল অন্তত ২০ টি ম্যাচ খেলতেই হবে ক্লাবকে। কিন্তু এত কম ম্যাচ খেললে কি এ এফ সি তাদের কাপে খেলার সুযোগ দেবে আই লিগ চ্যাম্পিয়নদের? তা নিয়ে বুধবার ফুটবল হাউসে দীর্ঘ আলোচনা হল ক্লাব-প্রতিনিধিদের সঙ্গে ফেডারেশন কর্তাদের। শেষ পর্যন্ত ঠিক হল শুক্রবার দিল্লিতে এ এফ সি-র সভায় এটা নিয়ে আলোচনা হবে। এবং যদি তারা এত কম ম্যাচ খেলে চ্যাম্পিয়ন হওয়া কোনও দলকে খেলতে দিতে রাজি না হয় তা হলে ফিরিয়ে আনা হবে বন্ধ হয়ে যাওয়া ফেড কাপ।
আই লিগ-টু এর দোহাই দিয়ে এবং আইএসএলের চাপে ফেড কাপ হঠাৎ-ই বন্ধ করে দিয়েছিল ফেডারেশন। ক্লাবের চাপে সেটা ফিরলে তা-ও করা হতে পারে আই লিগের ঢং-এ। হোম-অ্যাওয়ে হিসাবে। এ দিন সভার পর আই লিগের সিইও সুনন্দ ধর দিল্লি থেকে ফোনে বললেন, ‘’১৬ ম্যাচ খেলিয়ে যদি এএফসি কাপে খেলার অনুমতি না পাওয়া যায় তা হলে ফেড কাপ চালুর প্রস্তাব দিয়েছে ক্লাবগুলো। তেমন হলে ফেড কাপ ফিরে আসতেও পারে।’’ এ দিনের সভায় ঠিক হয় আই লিগের পুরস্কার অর্থ বাড়ানো হবে। চ্যাম্পিয়ন হলে এখন থেকে সেই ক্লাব পাবে এক কোটি টাকা। রানার্স পাবে ষাট লাখ।
তবে ক্লাবগুলির অভিযোগ, ফেডারেশনের যে কোনও টুনার্মেন্টের পুরস্কার অর্থ পাওয়া যায় দু’বছর পরে। সভায় ঠিক হয়, আই লিগে মোহনবাগান তাদের প্রথম ম্যাচে নামবে ৯ জানুয়ারি। কলকাতার প্রথম ডার্বি হবে ২৪ জানুয়ারি যুবভারতীতে। ফিরতি ডার্বি কোথায় হবে ঠিক হয়নি। ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারিখ জানানো হলে তারা মাঠ ঠিক করে জানাবে। এ দিকে ২৮ নভেম্বর গুরগাওতে অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ নিয়ে একটি অনুষ্ঠান হবে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন চুনী গোস্বামী, ভাইচুং ভুটিয়া ও সুনীল ছেত্রী।
No comments:
Post a Comment