দ্বিতীয় সাবমেরিন বিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজ হাতে পেল ভারতীয় নৌবাহিনী। ২৬/১১ মুম্বই হামলার সপ্তম বর্ষপূর্তিতে নৌবাহিনীর হাতে এসেছে আইএনএস কডমট নামে এই যুদ্ধজাহাজ। আপাতত ভারতের পূর্ব উপকূলেই থাকবে আইএনএস কডমট। চিন যেভাবে সাবমেরিনের সংখ্যা বাড়িয়েছে তাদের নৌবহরে, তাতে আইএনএস কডমটের মতো গুপ্ত ঘাতকের খুব প্রয়োজন ছিল ভারতের। বলছেন নৌবাহিনীর কর্তারা। শত্রুপক্ষের রেডার এড়িয়ে আচমকা আঘাত হানতে কডমটের জুড়ি নেই, খবর নৌবাহিনী সূত্রেই।
ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে এত দিন পর্যন্ত একটি মাত্র সাবমেরিন বিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজ ছিল। তার নাম আইএনএস কমোর্তা। শুধু মাতার আইএনএস কমোর্তার ভরসায় ভারতের সুবিশাল জলসীমাকে শত্রুপক্ষের সাবমেরিনের হামলা থেকে রক্ষা করা প্রায় অসম্ভব ছিল। উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজ এবং নৌবাহিনীর রণতরী অতন্দ্র প্রহরায় থাকলেও পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলে অন্তত একটি করে সাবমেরিন বিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজের টহল অত্যন্ত জরুরি। ৩০০০ টন ওজনের আইএনএস কডমটকে নৌবাহিনীর কর্তারা গুপ্ত ঘাতক আখ্যা দিচ্ছেন। শত্রুপক্ষের জাহাজের রেডারকে ফাঁকি দেওয়ার বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে কডমটের। ফলে নিজের অস্তিত্বের কথা একেবারেই টের পেতে না দিয়ে বিপক্ষের সাবমেরিনের খুব কাছে পৌঁছে যেতে পারবে আইএনএস কডমট। নিমেষে ধ্বংস করতে পারবে লুকিয়ে হামলা চালাতে আসা সাবমেরিনকে। তবে হামলা চালানোর জন্য শত্রুর খুব কাছে পৌঁছনোর প্রয়োজন নেই এই যুদ্ধজাহাজটির। এর পাল্লা সাড়ে পাঁচ হাজার কিলোমিটার। অর্থাৎ আইএনএস কডমট যেখানে টহলদারি চালাবে তার সাড়ে পাঁচ হাজার কিলোমিটারের মধ্যে ঢুকলেই বিপদে পড়তে হবে শত্রু সাবমেরিনকে।
নৌবাহিনী কর্তারাই বলছেন, শত্রুপক্ষ সাবমেরিন নিয়ে লুকিয়ে হামলা চালালে একেবারে শুরুতেই তা রোখা ভারতের পক্ষে এত দিন কঠিন ছিল। কারণ এক মাত্র সাবমেরিন বিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কমোর্তার ভরসায় থাকতে হচ্ছিল নৌসেনাকে। ২০১১-র অক্টোবরেই কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স ভারতের দ্বিতীয় সাবমেরিন কিলার আইএনএস কডমট-এর নির্মাণ শেষ করে ফেলেছিল। কিন্তু এত দিন কডমটকে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার তা তুলে দেওয়া হল নৌবাহিনীর হাতে। নৌবাহিনী বিশাখাপত্তনমে মোতায়েন করছে আইএনএস কডমটকে।
No comments:
Post a Comment