বছরের গোড়ার দিকের বিশ্বকাপ ফাইনালকে বলে বলে দশ গোল দিতে পারে দিন-রাতের প্রথম টেস্ট। রবিবার অ্যাডিলেড ওভালে অস্ট্রেলিয়ার তিন উইকেটে জয় দেখার পর ক্রিকেট-দুনিয়া সে রকমই বলছে। ম্যাড়মেড়ে একপেশে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড কাপ ফাইনালের চেয়ে দিন-রাতের প্রথম টেস্ট অনেক বেশি উত্তেজনার বারুদে ঠাসা।
একটু হলেই জয়টা স্টিভন স্মিথদের হাত থেকে ফস্কে যাচ্ছিল। ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের মাইলফলক ছুঁতে যখন আর মাত্র ২৬ রান বাকি, তখন মার্শ ভাইরা ক্রিজে। দুই ভাই একসঙ্গে কখনও কোনও দলকে টেস্ট জিতিয়েছেন কি না, সেই গবেষণা শুরু হতেই ছোট ভাইয়ের (মিচেল) আত্মঘাতী ড্রাইভ তাঁকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে দিল। তখনই রোমহর্ষক শেষ ঘণ্টার শুরু। পিটার নেভিল কিছুটা স্বস্তি আনলেও ৪৯-এ শন মার্শ স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফের ক্লাইম্যাক্স আমদানি করলেন নাটকে।
এই পা নিয়েই জয়ের রানের জন্য দৌড়লেন স্টার্ক।
জয় থেকে যখন সাত রান দূরে অস্ট্রেলিয়া, পায়ের পাতায় ফ্র্যাকচার নিয়ে ব্যাট হাতে নামা মিচেল স্টার্ক, হ্যাজলউড ও লায়নের ব্যাটিং বাকি। ক্রিকেট জুয়ার বাজারে হঠাৎ আগুন। একবার তো সিডল কষিয়ে ড্রাইভ মেরে ভেবেছিলেন জেতার রানটা নিয়েই ফেলেছেন। গ্যালারিও গর্জে উঠল। কিন্তু গোলাপি বল ধাক্কা মারে উল্টো দিকের স্টাম্পে। অবশেষে সাউদির বল পয়েন্টে ঠেলে সিডল ও খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে দৌড়নো স্টার্ক দু’রান নিয়ে ফেলায় ঐতিহাসিক টেস্টের যবনিকা নামল।
এমন ‘থ্রিলার’ টেস্ট জয়ের পর অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক স্মিথের মন্তব্য, ‘‘শেষ দুটো দিন যা গেল, মনে থাকবে।’’ শেষ মুহূর্তের টানটান নাটক নিয়ে সিডল বলেন, ‘‘একটা চারের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলাম। কিন্তু কিছুতেই পারছিলাম না। কী উত্তেজনা! মনে হচ্ছিল শিরা ছিঁড়ে যাবে।’’ বোল্টের কথায়, ‘‘দিন-রাতের টেস্টটা সত্যিই দুর্দান্ত ব্যাপার। জিততে পারলে খুব ভাল লাগত।’’
No comments:
Post a Comment