বিশ্বের দু’প্রান্তে দুটো ঘটনা। আর তাতে স্তম্ভিত ফুটবল দুনিয়া।
একটা যদি ফুটবল প্রশাসনকে নড়িয়ে দেয়, অন্যটা তবে হতবাক করে দিয়েছে ফুটবল প্রেমীদের। জোসেফ ব্লাটার এবং মিশেল প্লাতিনির কলঙ্কময় অপসারণের কয়েক ঘণ্টা আগে চরম অপমানিত হতে হল ফুটবলের রাজপুত্রকে। লিওনেল মেসির গায়ে থুতু ছেটালেন আর্জেন্তাইন ফুটবল ভক্ত। মেসির অপরাধ, বিশ্ব ক্লাব ফুটবলের ফাইনালে আর্জেন্তিনার রিভারপ্লেটের বিরুদ্ধে গোল করেছিলেন তিনি।
টোকিওর নারিতা বিমানবন্দরের পাসপোর্ট কন্ট্রোলের সামনে দিয়ে যখন হেঁটে আসছেন মেসি, তখনও বুঝতে পারেননি কী ঘটতে চলেছে। হঠাৎ তাঁকে ঘিরে ধরে কয়েক জন রিভারপ্লেট সমর্থক। তর্কাতর্কির মধ্যেই থুতু ছেটানো হয় মেসির গায়ে। হঠাৎ এই ঘটনায় হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন মেসি। তার পরই রীতিমতো উত্তেজিত ভঙ্গিতে এগিয়ে যান সমর্থকদের দিকে। ঘটনা প্রায় হাতাহাতির দিকে গড়াচ্ছিল, যখন মাসচেরানো, সুয়ারেজ, এনরিকেরা এসে মেসিকে সামলান। কোনও কোনও সূত্রে এমনও দাবি করা হয়েছে যে, মেসি নাকি ঘুষি মারেন ওই সমর্থককে। এর পর নিরাপত্তারক্ষীরা এসে সরিয়ে নিয়ে যান মেসি-সহ বার্সেলোনার ফুটবলারদের। পরে অবশ্য রিভারপ্লেটের প্রেসিডেন্ট সমর্থকদের হয়ে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে বিবৃতি দেন। কিন্তু ততক্ষণে ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। 
ফুটবল দুনিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও যে ব্যাপারটা নিয়ে ঝড় উঠেছে, তা হল, মেসিকে এ ভাবে অপমানিত হতে হল কি না আর্জেন্তিনাবাসীর কাছেই। তা সে যতই রিভারপ্লেটের ফ্যান হোক না কেন। এর আগেও দেশ বনাম ক্লাব বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন মেসি। মারাদোনার মতো কিংবদন্তিও বলেছিলেন, মেসি দেশের হয়ে খেলতে ততটা উৎসাহ বোধ করেন না। মাঝে এও শোনা যাচ্ছিল, মেসি নাকি অভিমানে দেশের জার্সি বেশ কিছু দিন গায়ে তুলতে নাও পারেন।
কিন্তু আর্জেন্তিনা মাঠে নামলে মেসি দূরে সরে থাকতে পারেননি। সোমবারের ঘটনা এ বার তাঁকে কী সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে, সেটাই দেখার।