Monday, December 21, 2015

জেলবন্দি তিন রাত, ভারতীয় ছাত্রদের হেনস্থা আমেরিকায়

ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে ভারতীয় ছাত্রের দু’টি দল পাড়ি দিয়েছিল আমেরিকায়। কিন্তু শেষমেশ মার্কিন মুলুকে জেলে রাত কাটাতে হল এক দল ছাত্রকে। আর এক দলকে শুধু জেরা করেই ছেড়ে দেয় এফবিআই। আরও ১৯ জন ছাত্রের একটি দলকে ভিসা থাকা সত্ত্বেও হায়দরাবাদ বিমানবন্দর থেকে বিমানে ওঠার ছাড়পত্র না দেওয়ার অভিযোগ উঠল এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
এই তিন দল ছাত্রের মধ্যে মিল একটাই। সান হোসের সিলিকন ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয় আর ফ্রেমন্টের নর্থ ওয়েস্টার্ন পলিটেকনিক কলেজে পড়তে যাচ্ছিলেন ওঁরা। কিন্তু ক্যালিফোর্নিয়ার এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়কে সম্প্রতি কালো তালিকাভুক্ত করেছে মার্কিন প্রশাসন। ভারতীয় ছাত্রের তিনটি দলই সে খবর জানত না। ফলে যে দু’টি দল আমেরিকায় পৌঁছয় তাদের চরম হেনস্থার মুখে পড়তে হয়। অন্য দলটিকে যাওয়ার আগেই আটকান এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ।
আমেরিকা থেকে আজই এক দলকে দিল্লি নিয়ে আসা হয়েছে। ওই ছাত্রদের অভিযোগ, টানা তিন দিন একটা সেলে তাঁদের আটকে রাখে এফবিআই গোয়েন্দারা। অন্য একটা দলও ভারতে পৌঁছে জানিয়েছেন, জেলে না ঢোকালেও সেখানে প্রায় ১৫ ঘণ্টা ধরে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এফবিআই। ১৪ জনের ওই দলেই ছিলেন দীপক নামের এক ছাত্র। তিনি বলেছেন, ‘‘খুবই অপমানজনক অভিজ্ঞতা।’’ আমেরিকা থেকে ফেরার সময়েই তাঁদের পাসপোর্টে ‘বাতিল’ লিখে দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ জানান, এই দুই দলকে দেখেই বাকি ১৯ জন ছাত্রকে হায়দরাবাদ বিমানবন্দরে আটকানো হয়। তাঁদের বক্তব্য, অন্য ছাত্রদেরও যাতে অসুবিধেয় পড়তে না হয় তাই তাঁরা সাবধান হচ্ছেন। এই দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাওয়ার স্টুডেন্ট ভিসা থাকা সত্ত্বেও ছাত্রদের বোর্ডিং পাস দেননি। মার্কিন শুল্ক, অভিবাসন এবং সীমান্ত রক্ষা সংক্রান্ত দফতরের নির্দেশেই এয়ার ইন্ডিয়ার এই পদক্ষেপ বলেও জানান কর্তৃপক্ষ। যদিও একটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, তারা আদৌ কালো তালিকাভুক্ত হয়নি। এটা ‘মিথ্যে রটনা’।

No comments:

Post a Comment