Wednesday, November 18, 2015

টাকায় টান পড়লেই থামবে সন্ত্রাস: মোদী

অর্থেই অনর্থ!
সন্ত্রাস আটকাতে আগে দরকার জঙ্গিদের টাকার জোগান বন্ধ করা। গত কাল এ কথাই বলেছিল রাশিয়া। জি-২০ বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অভিযোগ করেন, প্রায় ৪০টি দেশ থেকে আইএসের কাছে ব্যক্তিগত অনুদান আসছে। যার মধ্যে রয়েছে জি-২০-র একাধিক দেশ। পুতিনের সেই কথারই প্রতিধ্বনি আজ শোনা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে। দিল্লিতে সিবিআই ও ইন্টারপোলের যৌথ সম্মেলনে মোদী বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদীদের অর্থের উৎস নষ্ট করে দিতে হবে। অর্থ পৌঁছনো বন্ধ না হলে এদের ধ্বংস করা সম্ভব নয়।’’
সন্ত্রাসে আর্থিক মদত নিয়ে পুতিনের বক্তব্যকে সঠিক বলেই মনে করছে নয়াদিল্লি। কেন্দ্রের বক্তব্য, এর অন্যতম শিকার হল ভারত। ভারতে সন্ত্রাস ছড়াতে পাকিস্তান নিয়মিত অর্থ জুগিয়ে যাচ্ছে। আর পশ্চিম এশিয়ার বেশ কিছু দেশ থেকেও ভারতের পূর্ব সীমান্তে জেহাদি ভাবধারা ছড়িয়ে দিতে অর্থ পাঠানো হচ্ছে। এই কাজে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে। মোদী বলেন, ‘‘মাদক ও অস্ত্রের চোরকারবার, ব্যাঙ্ক ডাকাতি, গাড়ি চুরির মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ ব্যবহার করা হচ্ছে সন্ত্রাসের কাজে।’’ দিল্লির প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার নীরজ কুমারের দাবি, এই নেটওয়ার্ক এতটাই সক্রিয় যে পশ্চিমবঙ্গে খাদিম কর্তা অপহরণের টাকা আমেরিকার ৯/১১ হামলায় ব্যবহার করে আল কায়েদা।
জঙ্গি কার্যকলাপ আটকাতে আজ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপও করেছে কেন্দ্র। দেশের থানাগুলির মধ্যে রিয়েল টাইম যোগাযোগ গড়ে তুলতে
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ক্রাইম অ্যান্ড ক্রিমিনাল্স ট্র্যাকিং নেটওয়ার্ক অ্যান্ড সিস্টেমস (সিসিটিএনএস) প্রকল্পে ছাড়পত্র দিয়েছে। এ জন্য খরচ হবে ২০০ কোটি টাকা। এতে দেশের ১৫ হাজার থানাকে ইন্টারনেটের
আওতায় আসবে।

No comments:

Post a Comment