ক্লাসিকোর চার দিন আগের ছবি—  পুরো অনুশীলন করেছেন তিনি। সতীর্থদের সঙ্গে বল পজেশন প্র্যাকটিস থেকে হাল্কা ওয়ার্ম আপ, বাদ রাখেননি কিছুই।
ক্লাসিকোর দু’দিন আগের ছবি— লুইস সুয়ারেজ সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশ্ন তুলে দিলেন সতীর্থের ফিটনেস নিয়ে।
লিওনেল মেসি ফিট কি ফিট না? এল ক্লাসিকোতে তিনি নামবেন কি নামবেন না? সন্দেহের আবহাওয়ায় তৈরি হচ্ছে রাজপুত্রের প্রত্যাবর্তন মঞ্চ।
রোনাল্ডোর সঙ্গে বেনিতেজের ঝগড়া। সুয়ারেজ-নেইমারের যুগলবন্দির ম্যাজিক। সব কিছু পিছনে ফেলেই এখন ক্লাসিকোর আগে শিরোনাম একটাই— মেসির কী অবস্থা। গত সোমবার বার্সা সমর্থকদের স্বস্তির আশ্বাস দিয়ে অনুশীলনে ফেরেন মেসি। এলএম টেনের রিহ্যাব দুর্দান্ত চলছে, সে কথা জানিয়েছিলেন বার্সা কোচ লুইস এনরিকে। তবে মেসির নাম ক্লাসিকো চূড়ান্ত টিম লিস্টে থাকবে কি না, তা নিয়ে পরিষ্কার করে কিছু বলেননি। এক দিকে যেমন বলেছিলেন, ‘‘মেসি যে কোনও দলকেই শক্তিশালী করার ক্ষমতা রাখে।’’ আবার সেই এনরিকেই পরে যোগ করেছিলেন, ‘‘কোনও ফুটবলারকে নিয়ে ঝুঁকি নেব না। একশো শতাংশ ফিট হলে তবেই নামবে।’’
স্প্যানিশ প্রচারমাধ্যমের মতে, এলএম টেনকে নিয়ে বার্সা কোচের এই স্ববিরোধী মানসিকতা আসলে ক্লাবের চাল। রিয়াল কোনওক্রমে যাতে মেসির ব্যাপারে কিছুর আন্দাজ না পায় সেই কারণেই নাকি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা। একই কারণে নাকি মেসি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেছেন লুইস সুয়ারেজও। মেসির ‘প্রিয় বন্ধু’ যেমন এক দিকে খুশি তাঁর সতীর্থের অনুশীলনে ফেরা নিয়ে, আবার আশঙ্কাও করছেন মেসির চোট বেশি গুরুতর হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ‘‘মেসিকে অনুশীলনে যথেষ্ট চনমনে দেখিয়েছে। ক্লাসিকোয় খেলবে কি না সেটা কোচের উপর। কিন্তু ওকে অনুশীলনে দেখে ভাল লাগল,’’ বলেন সুয়ারেজ। মেসিকে একশো শতাংশ ফিট সার্টিফিকেট দেওয়ার পরেও সতর্ক করে দিচ্ছেন, ‘‘মেসির চোটটা এমন যেটা নিয়ে সাবধান না হলে আরও মুশকিল হতে পারে।’’ 
শোনা যাচ্ছে, মেসির ক্লাসিকো ভবিষ্যত্ নির্ভর করছে ফিটনেস পরীক্ষার উপর। শনিবার ম্যাচ। তার ২৪ ঘণ্টা চব্বিশ ঘণ্টা আগে, অর্থাৎ শুক্রবার ক্লাব ডাক্তারদের সামনে ফিটনেস পরীক্ষা নেওয়া হবে মেসির। যার পরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আর্জেন্তিনা রাজপুত্র খেলবেন কি না। ক্লাসিকো খেলার ছাড়পত্র পেলেও প্রথম দলে জায়গা হয়তো পাবেন না মেসি। রিজার্ভ বেঞ্চেই বসতে হবে। পরের দিকে মাঠে নামতে পারেন। তবে আর্জেন্তিনা রাজপুত্রর অভাব আপাতত ভালই ঢেকে দিয়েছে গোটা দল, সেটা মানছেন সুয়ারেজ। বলছেন, ‘‘আমরা জানতাম মেসিকে ছেড়ে খুব খেলা কঠিন হবে। কয়েকটা বাজে পয়েন্ট নষ্টও করেছি। কিন্তু অনেক ভাল ফলও পেয়েছি।’’ 
লা লিগার শীর্ষে বার্সা থাকলেও রিয়াল খুব দূরে নেই। মেসির ফিটনেস নিয়ে যেখানে ধোঁয়াশা রয়েছে, সেখানে আবার রোনাল্ডোর ভবিষ্যতও চিন্তায় রাখছে রিয়ালকে। ফুটবলবিশ্বে জল্পনা, এটাই হয়তো বের্নাবাওয়ে শেষ ক্লাসিকো সিআর সেভেনের। আগামী মরসুমে প্যারিস সাঁ জাঁ বা ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে তিনি চলে যেতে পারেন। ক্লাব কর্তা ও রাফায়েল বেনিতেজের উপর এতটাই ক্ষিপ্ত পর্তুগিজ তারকা, যে এ রকমটা ঘটলে আশ্চর্য়ের কিছু হবে না।