আশা রায় ফাইনালে উঠলেও যা সময় করেছেন তাতে পদক পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। ভৈরবী রায় ষষ্ঠ হলেন ট্রিপল জাম্পে। তিয়াসা সমাদ্দারের ফলও হতাশাজনক। তবে সোনার দিকে এগোচ্ছেন স্বপ্না বর্মন। হেপ্টাথেলনে সাতটি ইভেন্টের চারটি হল শুক্রবার। তাতে ওনএনজিসি-র এই বঙ্গ তনয়া সবার আগে। পয়েন্ট ৩১৭৪। তাঁর অবশ্য অলিম্পিক্সে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। কারণ তা পেতে গেলে ছ’ হাজারের উপর পয়েন্ট পেতে হবে। যা অসম্ভব।
সাইতে জাতীয় ওপেন অ্যাথলেটিক্স মিটের তৃতীয় দিনে বাংলার ছেলেমেয়েদের কোনও পদক নেই। তবে অন্য রাজ্যের দুই মেয়ে অন্নুরানি এবং ময়ূখাজনি নতুন মিট রেকর্ড তৈরি করলেন। জ্যাভলিন থ্রো-তে অন্নুরানি ছুড়লেন ৫৮.৮৫ মিটার। ভাঙলেন অবশ্য দু’ বছর আগের করা নিজের রেকর্ডই। তাঁর লক্ষ্য ছিল এখান থেকেই অলিম্পিক্সের টিকিট জোগাড় করা। সে জন্য তাঁকে ছুড়তে হত ৬২ মিটার। কেন পারলেন না? রেলওয়েজের মেয়ে বললেন, ‘‘অনুশীলনে আমি নিয়মিত ৬২ ছুড়ি। কিন্তু এখানে এত গরম যে প্রথম বার ছোড়ার পর আর নিজেকে বাড়াতে পারলাম না।’’ তিনি টানা চার বার মেয়েদের এই ইভেন্টে সোনা জিতেও তাই খুশি নন।
দুপুরে তীব্র গরমে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেননি অনু। কিন্তু বিকেলের বৃষ্টি আর ঠান্ডা হাওয়া ময়ূখাজনিকে অবশ্য মিট রেকর্ড করিয়ে দিল। তিনিও অবশ্য মুছে দিলেন নিজের পুরানো রেকর্ড। মেয়েদের ট্রিপল জাম্পে আগে লাফিয়েছিলেন ১৩.৭১ মিটার। এখানে লাফালেন ১৩.৭৮। ময়ূখাও অবশ্য রিও-র টিকিট জোগাড় করতে পারেননি। তাঁর অবশ্য অলিম্পিক্সের টিকিট পাওয়া কঠিন। কারণ তা পেতে গেলে তাঁকে ১৪২০ মিটার লাফাতে হবে।
আজ শনিবার শেষ দিনে অবশ্য সকাল থেকে অনেক প্রাপ্তি এবং অপ্রাপ্তির ঝড় বইবে সাইতে। টিন্টু লুকা নামছেন মেয়েদের ৮০০ মিটারে দু’ মিনিটের কম সময়ে দৌড়নোর জন্য। এ দিন তিনি অবশ্য হিটে করলেন ২.১৫।  স্বপ্না বর্মন ছাড়াও মেয়েদের রিলেতে বাংলার পদক পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ দিন অবশ্য প্রবল বৃষ্টিতে জল জমে যায় ট্র্যাকের কিছু জায়গায়। তার মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে ছেলেদের ৮০০ মিটার দৌড়ের তিনটি সেমিফাইনাল হয়। যা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। সমালোচনাও হচ্ছে।
আজ শেষ দিনে সফল অ্যাথলিটদের পদক দেওয়া ছাড়াও অলিম্পিক্সে যাওয়ার ছাড়পত্র পাওয়া তিন অ্যাথলিট—টিন্টু লুকা, ইন্দরজিৎ সিংহ এবং ললিতা বাবরকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। বিশেষ সম্মান দেওয়া হবে পিটি উষাকেও।