নিজের ব্র্যান্ডের ফটোশ্যুটে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ইনসেটে প্রাক্তন সতীর্থ গঞ্জালো ইগুয়াইন।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো নাকি অনেকটা ফানুসের মতো। নিজেকে যতটা ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে তুলে ধরেন, আসলে তিনি মোটেই ততবড় ফুটবলার নন।
অভিযোগকারী মেসির দেশের ফুটবলার। নাম গঞ্জালো ইগুয়াইন।
রোনাল্ডোর এক সময়ের টিমমেট অবশ্য এটুকুতেই থেমে থাকেননি। আরও বোমা ফাটিয়ে বলেছেন, ‘‘রোনাল্ডো অসম্ভব অহঙ্কারী। ওকে সেরা প্লেয়ার বলে তারিফ না করলে আপনি ওর বন্ধু নন। নিজেকে ও বিশ্বসেরা মনে করে। কিন্তু অত বড় প্লেয়ার ও মোটেই নয়।’’
প্রাক্তন রিয়াল মাদ্রিদ স্ট্রাইকার ছ’বছর বিখ্যাত স্প্যানিশ ক্লাবে খেলেছেন। খুব কাছ থেকে দেখেছেন রোনাল্ডোকে। ঠিক যেমন দেখেছেন লিওনেল মেসিকে। এবং সেই অভিজ্ঞতা থেকে তাঁর আন্তর্জাতিক দলের মহাতারকা সতীর্থের সঙ্গে কোনও ভাবে মেলাতে পারছেন না সিআর সেভেনকে। ‘‘আমি মেসিকেও ড্রেসিংরুমে দেখেছি। কিন্তু ওর সঙ্গে রোনাল্ডোর কোনও তুলনা চলে না।’’ আর রোনাল্ডোর এই অহঙ্কারী হাবভাবই নাকি ইগুয়াইনের রিয়াল ছাড়ার অন্যতম কারণ।
আর্জেন্তিনার স্ট্রাইকারের বোমা আবার ঠিক এমন একটা সময় ফাটল যখন টানা তিন ম্যাচে গোল না পেয়ে কিছুটা হলেও চাপে পর্তুগিজ মহাতারকা। সামনে জোড়া রেকর্ড। কিন্তু গোলও আসছে না, রেকর্ড ভাঙাও হচ্ছে না। তাও কিছুটা হাল্কা মেজাজে ছিলেন হয়তো এ দিন তাঁর তথ্যচিত্রের ট্রেলার প্রকাশ হওয়ার জন্য। যেখানে দাবি করা হয়েছে রোনাল্ডোকে নিয়ে তথ্যচিত্রে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবেন রোনাল্ডো ভক্তরা। মাঠের মহাতারকা রোনাল্ডোকে চিনলেও কী ভাবে উঠে আসলেন তিনি বিশ্বমঞ্চে, বিশ্বের জনপ্রিয়তম ফুটবলার মাঠের বাইরেই বা ঠিক কেমন মানুষ সেই অজানা সুলুকসন্ধান মিলবে তথ্যচিত্রে।
ইগুয়াইনের তুলে ধরা ইমেজটাও অবশ্য অজানাই ছিল এতদিন সিআর সেভেন ভক্তদের কাছে। তাই স্প্যানিশ পত্রিকায় গোটা ব্যাপারটা ফাঁস হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় দিনভর তোলপাড় পড়ে যায়। কেউ লিখেছেন, ‘‘রোনাল্ডোর এই রূপটা তো জানা ছিল না।’’ তেমনই অনেকে পাল্টা বলেছেন, ‘‘ইগুয়াইন হিংসে করত রোনাল্ডোকে। তাই এ সব ভুলভাল বকছে এখন।’’
প্রতিক্রিয়াটা এতটাই মারাত্মক ছিল যে চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত ইগুয়াইনের বর্তমান ক্লাব নাপোলিকে বিবৃতি পর্যন্ত দিতে হয়। রোনাল্ডোকে নিয়ে ইগুয়াইন কোনও বিতর্কিত মন্তব্য করেননি। দাবি তাদের। ‘‘নাপোলি আর ইগুয়াইন এমন কোনও সাক্ষাৎকার দেওয়ার কথা অস্বীকার করছে। তাই ইগুয়াইনকে নিয়ে যে সব কথা রটেছে তার কোনও ভিত্তি নেই।’’
অভিযোগকারী মেসির দেশের ফুটবলার। নাম গঞ্জালো ইগুয়াইন।
রোনাল্ডোর এক সময়ের টিমমেট অবশ্য এটুকুতেই থেমে থাকেননি। আরও বোমা ফাটিয়ে বলেছেন, ‘‘রোনাল্ডো অসম্ভব অহঙ্কারী। ওকে সেরা প্লেয়ার বলে তারিফ না করলে আপনি ওর বন্ধু নন। নিজেকে ও বিশ্বসেরা মনে করে। কিন্তু অত বড় প্লেয়ার ও মোটেই নয়।’’
প্রাক্তন রিয়াল মাদ্রিদ স্ট্রাইকার ছ’বছর বিখ্যাত স্প্যানিশ ক্লাবে খেলেছেন। খুব কাছ থেকে দেখেছেন রোনাল্ডোকে। ঠিক যেমন দেখেছেন লিওনেল মেসিকে। এবং সেই অভিজ্ঞতা থেকে তাঁর আন্তর্জাতিক দলের মহাতারকা সতীর্থের সঙ্গে কোনও ভাবে মেলাতে পারছেন না সিআর সেভেনকে। ‘‘আমি মেসিকেও ড্রেসিংরুমে দেখেছি। কিন্তু ওর সঙ্গে রোনাল্ডোর কোনও তুলনা চলে না।’’ আর রোনাল্ডোর এই অহঙ্কারী হাবভাবই নাকি ইগুয়াইনের রিয়াল ছাড়ার অন্যতম কারণ।
আর্জেন্তিনার স্ট্রাইকারের বোমা আবার ঠিক এমন একটা সময় ফাটল যখন টানা তিন ম্যাচে গোল না পেয়ে কিছুটা হলেও চাপে পর্তুগিজ মহাতারকা। সামনে জোড়া রেকর্ড। কিন্তু গোলও আসছে না, রেকর্ড ভাঙাও হচ্ছে না। তাও কিছুটা হাল্কা মেজাজে ছিলেন হয়তো এ দিন তাঁর তথ্যচিত্রের ট্রেলার প্রকাশ হওয়ার জন্য। যেখানে দাবি করা হয়েছে রোনাল্ডোকে নিয়ে তথ্যচিত্রে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবেন রোনাল্ডো ভক্তরা। মাঠের মহাতারকা রোনাল্ডোকে চিনলেও কী ভাবে উঠে আসলেন তিনি বিশ্বমঞ্চে, বিশ্বের জনপ্রিয়তম ফুটবলার মাঠের বাইরেই বা ঠিক কেমন মানুষ সেই অজানা সুলুকসন্ধান মিলবে তথ্যচিত্রে।
ইগুয়াইনের তুলে ধরা ইমেজটাও অবশ্য অজানাই ছিল এতদিন সিআর সেভেন ভক্তদের কাছে। তাই স্প্যানিশ পত্রিকায় গোটা ব্যাপারটা ফাঁস হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় দিনভর তোলপাড় পড়ে যায়। কেউ লিখেছেন, ‘‘রোনাল্ডোর এই রূপটা তো জানা ছিল না।’’ তেমনই অনেকে পাল্টা বলেছেন, ‘‘ইগুয়াইন হিংসে করত রোনাল্ডোকে। তাই এ সব ভুলভাল বকছে এখন।’’
প্রতিক্রিয়াটা এতটাই মারাত্মক ছিল যে চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত ইগুয়াইনের বর্তমান ক্লাব নাপোলিকে বিবৃতি পর্যন্ত দিতে হয়। রোনাল্ডোকে নিয়ে ইগুয়াইন কোনও বিতর্কিত মন্তব্য করেননি। দাবি তাদের। ‘‘নাপোলি আর ইগুয়াইন এমন কোনও সাক্ষাৎকার দেওয়ার কথা অস্বীকার করছে। তাই ইগুয়াইনকে নিয়ে যে সব কথা রটেছে তার কোনও ভিত্তি নেই।’’
কিন্তু তাতেও বিতর্ক থামছে কোথায়! অবশ্য এটাই প্রথম নয়। এর আগেও রোনাল্ডোকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে ঝড় কম ওঠেনি। সেই তালিকায় যেমন আছেন বিতর্কিত ফিফা প্রেসিডেন্ট সেপ ব্লাটার, তেমনই আছেন সুইডিশ মহাতারকা জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচও। মেসিকে ‘অসাধারণ’ বলার পাশাপাশি ইব্রা রোনাল্ডোকে বলেছিলেন শুধুই ‘ভাল’। কিন্তু এই সাদামাটা ‘ভাল’ বলটাই নাকি রোনাল্ডোর সমালোচনার সমতুল। এ ভাবে কাউকে ভাল বলেও যে সমালোচিত হওয়া যায় সেটার অভিজ্ঞতা ভালমতোই টের পেয়েছিলেন ইব্রা। আর ব্লাটার বলেছিলেন, ‘‘দু’জনেই অসাধারণ প্লেয়ার, কিন্তু আলাদা ধরনের। প্রত্যেক বাবা-মা মেসির মতো সন্তান চাইবে। কিন্তু রোনাল্ডো মাঠে সর্বাধিনায়কের মতো হলেও ওর চুলের পরিচর্যার পিছনে খরচটা বড্ড বেশি হয়ে যায়।’’
No comments:
Post a Comment