সূর্যের থেকে প্রায় পাঁচ হাজার গুণ বড়। সম্প্রতি এমনই একটা কৃষ্ণ গহ্বরের সন্ধান দিয়েছে মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং নাসার গডার্ড মহাকাশ কেন্দ্রের এক দল বিজ্ঞানী। সে দলে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ধীরজ পাশাম।
এত দিন পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল, কৃষ্ণ গহ্বর মূলত দু’প্রকার। বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় তাদের নাম, ‘স্টেলার মাস ব্ল্যাক হোল’ বা যে কৃষ্ণ গহ্বর সূর্যের তুলনায় মাত্র কয়েকশো গুণ বড়।
আর ‘সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল’ বা যে কৃষ্ণ গহ্বর সূর্যের থেকে কোটি কোটি গুণ বড়। এদের মাঝামাঝি কোনও কৃষ্ণ গহ্বর অর্থাৎ ‘ইন্টারমিডিয়েট মাস ব্ল্যাক হোল’-এর যে অস্তিত্ব থাকতে পারে, তা নিয়েই ধন্দে ছিলেন বিজ্ঞানীরা। যদিও ২০১৪ সালে ঠিক এ রকমই আর
একটি আবিষ্কার হয়েছিল। খোঁজ মিলেছিল সূর্যের চেয়ে ৪০০ গুণ বড় একটি কৃষ্ণ গহ্বরের।
আর ‘সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল’ বা যে কৃষ্ণ গহ্বর সূর্যের থেকে কোটি কোটি গুণ বড়। এদের মাঝামাঝি কোনও কৃষ্ণ গহ্বর অর্থাৎ ‘ইন্টারমিডিয়েট মাস ব্ল্যাক হোল’-এর যে অস্তিত্ব থাকতে পারে, তা নিয়েই ধন্দে ছিলেন বিজ্ঞানীরা। যদিও ২০১৪ সালে ঠিক এ রকমই আর
একটি আবিষ্কার হয়েছিল। খোঁজ মিলেছিল সূর্যের চেয়ে ৪০০ গুণ বড় একটি কৃষ্ণ গহ্বরের।
সে আবিষ্কার সত্ত্বেও নতুন এই ধরনের কৃষ্ণ গহ্বর সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারছিলেন না বিজ্ঞানীরা। এ প্রসঙ্গে ধীরজ বলেছেন, ‘‘আমাদের আবিষ্কার থেকে স্পষ্ট যে বিভিন্ন ওজনের কৃষ্ণ গহ্বরের সত্যিই অস্তিত্ব রয়েছে।’’ তাঁর মতে, প্রথম যখন কোনও কিছু আবিষ্কার
হয় তখন সে বিষয়ে ধোঁয়াশা পুরোপুরি কাটে না। তবে ‘অ্যাস্ট্রোফিজিকাল জার্নাল লেটার্স’-এ প্রকাশিত তাঁদের এই আবিষ্কার যে সব ধন্দ দূর করেছে, তা নিয়ে এক প্রকার নিশ্চিত ধীরজ।
হয় তখন সে বিষয়ে ধোঁয়াশা পুরোপুরি কাটে না। তবে ‘অ্যাস্ট্রোফিজিকাল জার্নাল লেটার্স’-এ প্রকাশিত তাঁদের এই আবিষ্কার যে সব ধন্দ দূর করেছে, তা নিয়ে এক প্রকার নিশ্চিত ধীরজ।
বম্বে আইআইটি থেকে ২০০৮ সালে এইরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং-এ বি টেক করেন ধীরজ। তার পর মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম এস, পি এইচ ডি করে বর্তমানে সেখানেই তিনি পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা করছেন।
ধীরজ জানিয়েছেন, ২০০৪ সালে যে ভাবে গবেষণা চালানো হয়েছিল এবং তাঁরা যে পদ্ধতিতে এই কৃষ্ণ গহ্বরের সন্ধান পেয়েছেন, সে দু’টি সম্পূর্ণ আলাদা। সুতরাং তিনি মনে করেন, প্রথম আবিষ্কারের পদ্ধতিগত কোনও ত্রুটি যদি থেকে থাকত তাঁরা অন্য পদ্ধতির মাধ্যেমে একই রকম কৃষ্ণ গহ্বরের সন্ধান পেতেন না। তাই ধীরজের যুক্তি, তাঁদের এই আবিষ্কার প্রকারান্তরে ২০১৪ সালের আবিষ্কারটিকেও সত্য বলে প্রমাণিত করেছে।
বিজ্ঞানীরা কৃষ্ণ গহ্বরের তালিকায় এই নবতম সংযোজনটির নামকরণ করেছেন, ‘এন জি সি ১৩১৩ এক্স-১’। তাঁদের দাবি, এই কৃষ্ণ গহ্বরটি মহাজাগতিক রশ্মি বিচ্ছুরণ করে। নাসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে তাঁরা ‘এন আই সি ই আর’ নামের একটি বিশেষ টেলিস্কোপ আনতে চলেছে।
আর সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন ধীরজ। তাঁর আশা, ‘এন আই সি ই আর’ –এর সাহায্যে এমনই না জানা বস্তুর সন্ধান পাবেন তিনি। প্রত্যয়ী ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানী তাই বলেছেন, ‘‘এই ফলাফলের হাত ধরে আমরা আরও এগিয়ে যাব।’’
No comments:
Post a Comment